শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

গোপাল চন্দ্র সাহা


গোপাল চন্দ্র সাহা

অনুভব

দুপুরের গায়ে নরম মাটির ঘুম লেপে দিলে
স্বপ্নের মত ফোটে বিভোর

দুপুরের স্বপ্নে রোদ থাকে না
নীরবতার ভিতর হেঁটে যায় ছায়ার মত রাত্রিমানুষ

তবু নিজেকে চিনে রাখা সহজ,    যখন
ছায়ার অভাবে নিভে আসা সিঁড়িগুলো
প্রাণপণে বলে যায় - আমাকে আর
                      হাঁটতে বল না রাত্রির অনুভবে...






একটু সাইড দিন প্লিজ

আঙুল ছুড়ে দিলে বিদ্রুপে
নরম হয়ে ওঠে ফাটলের মুখ
গুটিয়ে নিলে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় নিজেরই ভেতর

এইসব ফাটল জুড়ে জুড়ে যে শ্রমিক পাথর গড়েছিল
একদিন, সহাস্যে এমনিই বলেছিল --
বুঝলেন দাদা, বেঁচে থাকা অনেকটা মিছিলের মত
এর পথভ্রষ্ট ভূমিকা তুরীয় নেশার মতোই সচেতন

যেদিন আন্দাজ ঠুকে ঠুকে মিছিলের হাফ টিকিট
রুটি সেঁকে গ্যাছে টায়ার পোড়া মাঝপথে

                             সেদিন জেনে গেছি
              ওদের গন্তব্য বলে কিছু নেই

শুধু শুধু ধূমায়িত শিসে প্রাবল্য হারিয়েছে
দহনের গোপন পথ

সে হোক্, তাতে আমাদের কী !
আসুন, আমরা আপাতত উপসংহার ভেঙে রং হয়ে উঠি
                               সুষম পতাকার





ফলাফল

রাস্তাঘাট, ফাঁকে ফাঁকে জল
আনাচে কানাচে পোকার মতো হেলদোল
কাঁটায় গেঁথে পড়ে আছে দিনরাত

যদি ছিপ বেয়ে উঠে আসে পুরুষ্ট সকাল
সেভাবে বাড়ে না বয়স
মীমাংসিত কোনো ছায়ারই

নচেৎ, নদী
ওই জলটুকু টেনে নেয় বাড়ি থেকে ত্রিবেণীময়

                     পুরুষ পুরু উঠোনে সন্ধ্যার ডাক --
                     অন্ত্যেষ্টি ও আরো কিছু ভাবনার