শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

তাপসকিরণ রায়


তাপসকিরণ রায়

পাখি ও তন্দুরির মাঝখান থেকে

যে চিহ্ন এঁকেছি তাতে শুধু পাখির চোখ দেখি,
অবয়ব হারানোর দৃশ্যে কিছু ছায়াপাত দেখি।
তোমায় না পেয়ে পাখিদের ভালবাসতে ইচ্ছে হয়।
তুমি বললে--এ ভাবেই ভালোবাসা জন্ম নেয়।
রাতের টেবিলে কোথাও পালক নেই,
নির্বিবাদে তন্দুরি চিবিয়ে গেছি
আমার প্রেমিকার শরীর দেখে
কখনও পাখির মত মনে হয়--
মনে হয় ভালবাসি।
তারপর তার নাভিদেশ থেকে তুলে নিই পঙ্ক,
ঘেঁটে ঘেঁটে পদ্ম খুঁজতে গিয়ে
নিজেকেই আর খুঁজে পাই না।
আমার নষ্টের মূলেও তো একটা পাখি ও নারী ছিল।
তোমাকে পেতে গিয়ে
 মাংসের স্বাদে তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছি।
একটা আড়াল ও অন্ধকারে সম্ভ্রম হারাতে পারে জানি,
ওই পাখি ও তন্দুরির মাঝখান থেকে তুমি বারবার উঠে আসো।







তবু অন্ধকার

তবুও অন্ধকারে একটা জায়গা রাখা আছে,
যেখানে বিশ্রাম নিতে হয়।
ব্যতিক্রমী কিছু দিক আছে, সে জাগার গিঁট
আর বুঝি খোলা যায় না।
নিজেই নিজেকে শুধোই,
তবু এগোতে হবে, হয়ত একদিন
দিগন্তের আলো ছুঁয়ে
অন্ধকারকে সহজেই আলিঙ্গন করা যাবে।






যেটুকু হেসে বলেছি

যেটুকু হেসে বলছি, সেটুকুই নয়--
হাসির মাপ কাঠিতে জীবনকে মিলানো যায় কই ?
বাইরের ভাবনাগুলোকে অভিনয় সূত্রে জুড়ে জুড়ে
নাটক তৈরি হচ্ছে।
জীবন বড় এলোমেলো--এই আছি ভালো
হঠাৎ ভোকাটা ঘুড়ির মত--
বড় অজানা পথ, তবু চোখের দেখায়
তারে চিনে নিতে হয়।
মনের আন্দোলনে তাকে মিশিয়ে নিতে হয়।
তারপর আবার ধ্বসে যায় ভিত,
সে গোপন কক্ষে, মন কাটা, মন জোড়া
খেলার মাঝখানে
তোমাদের সামনে এসে দাঁড়াই,
গালের সীমানায় হাসির রেখা ফুটে ওঠে,
বলি, আছি, ভালো আছি--
এইতো জীবন।