বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

রবিন বনিক



রবিন বনিক

ঠিক মনে নেই

ঠিক মনে পড়ছে না শেষ কবে আমার টানটান করা আকাশে
মেলে দিয়েছিলে হলুদ ডাল ভাত
শেষ কবে পাড়ার বটগাছটিতে টাঙিয়ে দিয়েছিলে পাতালের ছবি
মনে নেই
ইদানিং মনেও পড়েনা শেষ কবে ক্ষিদের জ্বালায় চিবিয়ে খেয়েছিলে
গভীর সমর্পন
এখানে আর কোনো হরতকির চিহ্ন নেই
আমরা যে যার নিজের মতো নদী বেছে নিয়ে তলদেশ খুঁজতে গেছি







এভাবে ডেকো না

এভাবে ডেকো না

যখন তখন ফুরুৎ করে উড়ে যেতে পারে রুমাল
তালুতে এখন নিশ্চিন্তে শুয়ে আছে রোদ

আর একটা কথাসময় হলে পোষাক বদলে
আমি পৌঁছে যাব ঠিক

এভাবে ডাকার কোনো অর্থ নেই

আকাশে ভাসছে খাম

দুষ্টু দুষ্টু পায়ে শব্দ ঘনিয়ে আসে পাতায়








সুখ পেতে শুয়ে আছে সন্তান

তারপরগভীর হলে তুমি অরণ্য হয়ে যাও

সুখ পেতে শুয়ে আছে সন্তান

এক    হাতে জ্বলছে লাঠি
          অন্যহাতে চোখ
এক    হাতে বাড়ছে পাথর
           অন্যহাতে শোক

বরং এসো সুরঙ্গ ছিঁড়ে ছিঁড়ে শোকের নীচে রাখি
তারপরএকটি মাত্র কাঠি থেকে ছিটকে আসা তাপে
পুড়িয়ে ফেলি আমাদের যাবতীয় হলুদ







কে তুমি

কে তুমি শব্দহীন কাছে এলে?
কে তুমি পায়ে পায়ে রেখে দিলে অনন্ত মহাকাশ?
কে তুমি ক্রমশ ঘনিয়ে আসা নদীর মতো?
আমিহারিয়ে ফেলেছি আলিঙ্গন
আমিযে খয়িষ্ণু মজ্জার শোক
আমিফুরিয়ে আসা আগামীকাল
শতকের ভিড়খুলে দাও ক্রমাগত শূন্য
খুলে দাও স্নায়ুর পোষাক
কিছুক্ষনআর কিছুক্ষন পর ধুমায়িত হবে চিরন্তন সত্য
কে তুমি ছুঁয়ে দিলে আমার ঐতিহাসিক চিহ্ন?







নষ্ট জাত

বৃষ্টিতে আজ জল ধুয়েছি
মরায় পোড়া লোহার হাত।

কাঠগোড়াতে দাঁড়াই এবার
ফুটপাতে খাই টিনের পাত।

জন্মের পর হলুদ হলুদ
মাথার ভেতর শেয়াল রাত।

ধর্মগুলো সব জলীয়
শূন্যে ফেরা নষ্ট জাত।

পাপের পাশে মাধবীলতা
চোখের ভেতর গভীর খাত।

অন্ধরা কেউ রাত বোঝেনা
পাঁচের পাশে তোমার সাত।