বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

তনুজা চক্রবর্তী



তনুজা চক্রবর্তী

ঘাসের স্বপ্ন

ওরা আমাদের পাশে আছে
তাই আমরা আবার মাথা,
তুলতে চাইছি !
আমরা ওদের পাশে থেকেও
ওদের সুহৃদ হওয়ার কথা,
ভাবার সময় পাইনি---
আর ভবিষ্যতেও তা ভাবব কিনা,
সেটা কিন্তু বোঝাতে পারিনি আজও ।
তারপরেও ওরা মেনে নিয়েছে আমাদের,
ভবিষ্যতেও মেনে নেবে, আমরা ভয়ের
জন্মদাতা বলে- ----
কে চায় ভালোবাসা ? ছুঁড়ে দেওয়া
ভালোলাগাতেই আমাদের বৈভব ?
আমরা বিচিত্র নীতির কলরব ।
ছুঁয়ে থাকে ঘাট, সয় বলে মাঠ,
সব পথেরা নির্বিকার।
তবু প্রতিটা নতুন আশ্বাসে বিশ্বাস জন্মায়,
প্রভাতের শিশির বিন্দু হয়ে!
ঘাসেরাও স্বপ্ন দেখে।


               




 এমনটাই ঘটে

আজও শৈশবেরা বেঁচে আছে ।
যে যেভাবে সাজাই সেভাবেই সাজে,
সবার মত করে, কবিতা গল্প গানে ।
হয়তো হারিয়ে গেছে চোখ গেল বলা পাখিটা,
আর সেই গৃহস্থের খোকা হোক বলা
মিষ্টি কন্ঠস্বরটা;
ওরা আর কেউ ঘুম ভাঙায় না!
উঠনে বসে না চড়ুইয়ের সেই
মন মাতানো কিচিরমিচির আসর-- --
শুধু প্রভাতে পূব আকাশে ,
রবিমামার উদয় আজও হয়।
তৈরি করা আর হারানোর মাঝে ,
এক বিশাল সেতু জন্ম নিয়েছে।
এখন পারাপারে কষ্ট,
শুধুই নয়ছয় করে সময়।







আজও বনলতা

একটা সকাল চাইছি আমি
আমার মত করে,
জীবনানন্দ পড়ে---

চুলে ছিল বিদিশার নিশা
মুখে শ্রাবস্তীর ঢেউ,
ফিরে দেখেনি কেউ।

সবাই হয়না বনলতা সেন
যে হৃদয়টা লাগে,
পড়েছিল ওঁর ভাগে- --

আধুনিকে বড়ো ভয় তোমাদের
নবীনে দেখ হার,
এ ভাব ছিল না তাঁর---

সেই বনলতা আজও আছে
হারায় তাকে চোখ,
মিছেই করা শোক।

                





কবিতা নয় বাস্তব

ও কবিতা নয় বাস্তব
কাব্য ওকে খোঁজে।
সে তখন বাস্তব অসুখের
নিরাময় অনুসন্ধানে মত্ত---
গায়ে পুরনো খ্যাতির সুগন্ধ নেই,
তাই , কবিতা বলে কেউ ডাকে না!
ভাবনা যখন পাশে বসিয়ে , সুদূরকে নিকট,
বড়োকে আপন দর্শায়
তখন নিজেকে আবার ভালোবাসে ।
এক কোঁচড় শব্দ পুনরায় তাকে সাজায়,
মেতে ওঠে অচেনা আগন্তুকের
আচমকা ভালোবাসায়---
এভাবেও বাঁচা যায় !
রোজ তাই ফোটা, নিজের হাত ধরে
নিজের ছোটা----







আনন্দ

না জন্মালে, আনন্দ শব্দের অর্থ
হয়তো অজানাই থেকে যেত ।
এটা ভাবলেই মনে হয়, যন্ত্রণা
শব্দটা তবে পিছু নিলো কেন?
বোধহয় জন্মের সঙ্গে মরণ
এসেছিল বলে----
যুক্তিতেই মুক্তির দর্শন হয়ে যায় !
এসব পাগলামি গুলো রক্তে থাকে,
বোধের নাড়া খেয়েই
উঁই পোকার মতো
 ঢিবির বাইরে পিলপিল
করে বেরিয়ে আসে----