বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়


বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

দ্বিঘাত সমীকরণ

উন্মুক্ত নাভির নীচে তলদেশ কিছুটা আঢাকা
গভীর রহস্যের গায়ে চাঁদ পিছলে যায়
এই বনভূমি থেকে জ্যোৎস্না আয়োজন
মুগ্ধতা মেটে না।
ঠিকরে পড়ে সৃজনের পলি ।
আশ্চর্য   সঙ্গমে  লেখা স্বপ্নের পাঁচালি ।

তুমি তো কৃষক লাঙলের তীক্ষ্ণতায় কাদাভূমি
চষে চষে তুলে আনো কবিতাফসল।

শব্দের শরীরে  লেখো আগ্নেয়াস্ত্র কাম
 মোলায়েম  হাতে বাজে স্তনের মহিমা।

এ সুখের দ্বিঘাত সাম্যতায়
 সুখবীজ সমাধান মন্ত্রে আসে ওম।







দেহতত্ত্ব  ও একতারা

গান থেকে কেমন পাখনা মেলে অচিন পাখিটি।
নদীও  শরীর মেলে
খুলে ফেলে বক্ষ আবেষ্টনী
তুমুল সাঁতার চায়  আদিগন্ত  সঙ্গম প্লাবনে

মনের ভেতর জল
বানভাসি  আকুলতা
গানের  কিনারে কেউ খুলে দেয় জানলা দরজা
তৃষিত স্তনের ক্ষুধা
বেলাগাম স্বপ্নসরোবর

ঢেউ ওঠে একতারায় উদ্ধত শিশ্নের তারে
গর্জে ওঠে বিপুল আলোক







বাতাসে পরাগ ওড়ে

শরীরের ভাষা বোঝো যুবতী বৃক্ষের  আর্তনাদ
এই উচ্চারণে ভেসে যায় জড়ের ক্লীবতা
 তবু গাছ , একান্ত শেকড় ছিঁড়ে কাছে আসতে এতই অনীহা ।
সরিয়ে দিয়েছি  সব অহেতুক  পোশাক আশাক
এই দেখো, আমার আঢাকা বুক
ফুল্লকুসুমিত রূপ
খুলে দিচ্ছি উচ্ছাসের জলে
রতিযন্ত্রে ফুল ফুটে আছে
পাতায় পাতায়  লেখা উচাটন কামনাপরব
নির্ঘুম স্বমেহন দাগ নিয়ে বেজে ওঠে রোজ যৌনস্পৃহা

বাতাসে পরাগ ঢেলে কতটুকু সুখ বলো
লিঙ্গের সংযোগ ছাড়া নেই কোন প্রেমের মহিমা।