বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

তানিয়া ব্যানার্জী


তানিয়া ব্যানার্জী

উন্মোচন

আবার বছর খানেক পর যদি দেখা হয়!
যদি ঘুঙুর পায়ে জলছবিরা
বৃত্ত আঁকে লাল শালু গায়!
যদি ঠোঁটের পাশে অর্ধেক জিভের ব্যার্থতা
ফিরে পেতে চায় দা-এন্ড লেখা ছায়াছবির
নিঃশব্দ অডিটোরিয়াম!
পারবে তুমি এনে দিতে!
আমার আ্যলজোলাম বিহীন 
উষ্ণতম রাত!

একটুখানি বিশল্যকরণীর জন্য
গোটা সূর্যকে বগলে পুরে
ফেরাতে চেয়েছিলে তুমি... মনে পড়ে?
বাদসেধেছিল ওই দেওয়াল ঘড়িটা,
পথ, পাথেয়, মুহূর্তরা ছিল প্রস্তুত
শুধু ওই ঘড়িটার টিক টিক...টিক টিক... টিক টিক।

আজো তারা খসা গোনে কেউ,
ইচ্ছের সিল করা এয়ার টাইট প্যাক
পরিচিত হাতের উন্মোচনের অপেক্ষায়।







কন্টিনেন্টাল

তোমার শরীর কেমন আছে পলাশ?
কেমন আছে তোমার যকৃৎ,পরিপাক ক্রিয়া?
নাকি তারি মত বিকল!!
দিনে রাতে জাবর কাটা মুহূর্তের সাথে
তোমার হাতের তালু, চুলের রঙ , চোখের ভাষা
আজো জমা পড়ে  আছে তুষার কন্যার কাছে
তার আবার বদহজম চলছে কিনা!
  তুমি শুনতে পাও জলের শব্দ?
    দেখতে পাও ধোঁয়া?
আগুন... পলাশ,    আগুন...
ছারখার  ভেতর ঘর,  আসবাব
     তারপর...পলাশ!...তারপর!
   নিভলো,   এক লহমায়,
   অবিরত জলের দাপটে।

  আজো কি এ গল্প  শোনায় তোমার যকৃৎ!!
হজম করতে পেরেছো কি পলাশ?
  কেমন আছে তোমার পরিপাক ক্রিয়া?
    কেমন আছে তোমার যকৃৎ!!






জ্বর

জলের ভেতর মেঘ নন্দন
   জলেই নাকি ঘর!
মেঘ সরলেই বৃষ্টি বিলাপ,
আমি কি তোর পর!
অলকানন্দা অলকানন্দা
জলের ভেতর রজনীগন্ধা...
মাখবি একটু জ্বর!
বদ্যি যে তোর রক্ষা কবজ
বাম পকেটে ঘর।
পৌষ বিকেলে চোড়ছে পারদ
থার্মোমিটার পর।
আসুক জ্বর.. ভাসুক চর
জলপটি দেব রাত ভর।