বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

সুধাংশুরঞ্জন সাহা


সুধাংশুরঞ্জন সাহা

যৌনতার জলবায়ু: এক

আদতে তুমি জানো না।
তুমি, আমি কেউ নয় 
একটা শরীর চায় আরেকটা শরীরকে ।
জামাকাপড়বিহীন দু'দুটো শরীর
মেতে ওঠে নিত্য নতুন খেলায় ।
অবশেষে একটা বিশাল অজগর
ঢুকে পড়ে কচুরিপানাময়
প্রার্থিত একটা খালে ।
অথচ খালটাকে গিলতে পারে না কোনভাবেই ।
যতবার ঢোকে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসে দ্রুত ।








যৌনতার জলবায়ু: দুই

আমি বেশিক্ষণ অফিসে থাকলে
আমার স্ত্রী আমাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করে না ।
আমি মেয়ে-বন্ধুদের সঙ্গে কথা বললেও
সে বিশেষ কিছুই বলে না ।
কিন্তু বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে একটু কথা বললেই
তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে সে ।
বলে, মিছিমিছি আমাকে বিয়ে না করে
ওকেই তো বিয়ে করতে পারতে 








যৌনতার জলবায়ু: তিন


শরীর ডিঙিয়ে,
বিছানা ডিঙিয়ে,
কে আর কেটেছে সাঁতার নদীতে, সমুদ্রে  ?
রাতদুপুরে সাপলুডো খেলতে খেলতেই
দু'পায়ের ফাঁকে নীলনদে ডুবতে ডুবতে
ভাসতে ভাসতে
জেনেছি তামাম জন্মবৃত্তান্ত,  দু'চোখের বিস্ময়ে !








যৌনতার জলবায়ু: চার

অয়েদিপাউস, ইদিপাস কপচাতে কপচাতে
বিস্তর পেনসিল স্কেচ করার পর সেইতো
শেষ অব্দি সেই শরীরেই যাতায়াত আমাদের ।
স্তন, যোনি, শিশ্ন  যৌনশিল্প
তামাম দুনিয়ায় তুলেছে কত ঝড় !
আজও নির্ঘাৎ তোলে ।
বয়ঃসন্ধি থেকে শুরু করে পূর্ণ অবয়ব ।
গোলার্ধ থেকে গোলার্ধে
ধার তার এতটুকু কমে নি, বরং বেড়েছে ।







যৌনতার জলবায়ু: পাঁচ

কনডোম আর পিলের গল্প যত এগোয়
খিদের আগুন দুনিয়াকে ততই দাউদাউ পোড়ায়
ভোরের নদীর কুয়াশায় যেমন থাকে তালাশ
আবিষ্ট অন্ধকারে মানুষেরও সুপ্ত থাকে
অপরূপ উরুর সম্মতির আকাঙ্ক্ষা ।
এইসব ক্ষেত্রে অশ্বারোহী এবং পদাতিক
সব যোদ্ধাই যৌনতার জলবায়ু মাপতে ওস্তাদ ।








যৌনতার জলবায়ু: ছয়

জ্যামিতিক পৌরুষ কোন নারীইবা ভালোবাসে !
সুদীর্ঘ নদীগর্ভ নিয়ে সে তো অপেক্ষাতেই থাকে।
নিরিবিলি রাত্রি ও স্তনের উচ্ছ্বাস সাজিয়ে ।
ঠোঁটকে নদী ভেবে পরস্পর সাঁতার কাটে,
অকপট স্নান সারে মুগ্ধতায় ।
তারপর টইটম্বুর জোয়ারে ভাসে পরস্পর ।
অথবা জ্বলে যায় বিবাহের বারুদে ....
কিংবা ভেসে  যায় অবিবাহের জলপ্রপাতে ....।