বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

হাসিদা মুন


হাসিদা মুন

আমি

আমি রহস্যময় এক প্রাণী
কোন এক সত্যকেও
কিছুটা  জানি
পৃথিবীর শূন্যস্থান
এই  থেকে গিয়েই
পূরণ করার নিয়ম মানি

সাথে ক্ষমা করে দেয়া চোখ
চামড়ার গভীরে
গিলে যাই লোনা ঢোক
দেখি মৃত্যুর হাতছানি
বাতাসের প্রেতলোক ......







পরমায়ু

কাকচক্ষু নদী মোহনায়
স্বরলিপি সাধা স্বরে
ডাকে ওঙ্কারে ...

কে কাকেইবা ডাকে
কে দ্যায় উত্তর তার
করতলে আঁটা কে কার  ?

বিশুদ্ধ বন্ধন এঁটে থাকে
কেইবা নৈকট্যের নিবিড় ছায়ায়
কার ভালবাসার তীব্রতা গেঁথে আছে
কার বুকের গহীনে কতটা
বিপন্ন মাত্রায়  !
কতটুকু কাছে গেলে
কতটাই বা সরে এলে
সময়ের মুদ্রাদোষে বিচ্ছেদ গোড়ে তোলে
সময় অসময় ...

বোঝেনাই
বোঝেনা মন সমগ্র
বুঝবার আগেই বুঝি স্বরচিত
আহ্লাদ থেমে যায় ...
যেতে যেতে রেখে যায় সহস্র স্মৃতিতে
জেগে থাকা রাত
ও যে বিনিদ্র জাগে এবং জাগায় -
আয়ুরেখা বন্ধক দিয়ে
নিজ পরমায়ু হাতে নিয়ে তাঁকে ফের দিতে যায় .....








বিবর্ণ

আবেগও  বিবর্ণ লাগে হিসেবের তলানিতে
লিমেরিক কবিতার মতো ছন্দ খোঁজা
সারাক্ষণ তুমি -আমিতে
প্রেমনিবেদন ব্যায়ামের মতো 
নৈমিত্তিক
আচার আচরণ  হয়ে পড়েছে
শুধু ছলাকলাি অব্যাহত
এবং  সর্বসম্মত
একই সাথে ক্রমবর্ধমান ক্রমে ক্রমে
অভিজ্ঞ সেজে তাঁকে জিতান চাই
নিজেদেরি  সাজানো গেমএ ...

আমি কি স্পেস শাটল বাহে ?
সারপ্রাইজ হবার কিছু নেই এই মোহে
সে মসৃণ স্তরে আমাদের এসব মোহের নীড়
সেখানে কোন শাবক নেই !
শুধুই এক 'ক্ষুধা' বসবাস করে ...

এ মুহূর্তে তুমি যে 'তুমি' সে তুমি
কোথায় আছো জানি না
হার মানিনি কিংবা মানিনা
তবে এক চুম্বন বাজি রেখেছি
যা তোমাকে দেখলেই  দিয়ে দেবো
নিমেষে ঋণ মুক্ত হয়ে যাবো .....








চর্চিত মাদকতা

অস্তগামী রাত আর নিয়তি
এক সূত্রে গাঁথা
সাথে ভালবাসা ফেরী করে কামুকতা
কল্পচিত্রের তরীকায়
গলি রাজপথ প্রাসাদ পেরিয়ে
বসতভিটের উপকূলে
নিঝুম চরাঞ্চলে
ছলে বলে কৌশলে
মানুষের টোপ গেঁথে
মানুষ ধরা শেখায়
বহুমাত্রিক রূপান্তরে বহুকথা

মানুষের মন শুধু লিজ নেয়
এক জীবনের অপারগতা
জন্ম জন্মান্তরের জীবন প্রবাহে
শিরনামে যার জীবন্ত মত্ততা
একই সুর এক ই কথা
মহুয়ার বুনো মাতাল স্পর্শে
অরণ্য ভরা চর্চিত মাদকতা ...







প্রমাণ

অতীতের প্রচ্ছদে ছাপা বর্তমান
আঙিনায় বেরিয়ে আসে চৌকাঠ মাড়িয়ে
আঁধারের রন্ধে পাদিয়ে উঠে এসে বাড়ীমুখো হয়
সু সার্বজনীন মন দীর্ঘ পথের ঘুরোঘুরিতে বাতাস কাঁপায়
উত্তরী বাতাসে ভরা থাকে কাঁদা মাটির উচ্চাকাঙ্ক্ষা

ঝড়ো হাওয়ায় জল প্রপাত বয়ে আনে অনুসন্ধানে
মাথার চতুর্দিকে রংধনুর ঘূর্ণি তীক্ষ্ণতা স্পষ্ট করে
প্লাবনের উপচে পড়া সূর্য ঠোকরানো দিন
গভীর এক স্রোতে ক্রুশের আকারে কাঠ ভেসে যায়
আর তখনই  দুই রাস্তাকে জুড়ে দিতে আমিও সেখানে
শ্রীহীন ছাই ছিটানো কামারশালার হাতুড়ি চাই
সাথে সহ্য করার বিশাল পেরেক বিঁধে আছে ঠাই
সাবধান ! হাত ফের হিসহিসিয়ে না উঠে

দৃষ্টির ছুরিতে কেটে যায় হিসেবের কিছুটা কাল
অপব্যয় হতে হাত ফসকে যায় নিদেনপক্ষ
কাঠের উপরে নিজ দেহকেই বাঁধা দেখি
হাতে পায়ে বারোক দাগ উন্মুক্ত করে দেয় দৃষ্টান্ত
রক্তের ঢেউ ছিল কিছুটা সময়ের ভালবাসা
তিন ঠেঙে কুকুরের মতো লাফিয়ে
বাকি পথগুলো চলা
ভ্রমণ শেষে রাস্তাটা এই  আমাকেই -
প্রমাণ হিসেবে ছুঁড়ে দিয়ে ভাঙ্গবে গন্তব্য ...