শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮

কচি রেজা


কচি রেজা

মশলা সংসারের মাঝখানে
----------------------------
কেউ যদি উছলে ওঠে, সম্পূর্ণ দেবে , চক দিয়ে লিখবে ভঙ্গিটি
একটু আগ্রহী হয়ে কিনে নেবে এমন এক ধংসাবশেষ
যা কেবল কিনতে পারে মাতালই
কষ্টের জলে মেয়েটি যে মাছ পুষেছিল, বেড়ে ওঠা
শরীরে জামা পরতে গিয়ে ছিঁড়েছিল বোতাম --- 
সে এখন মশলা সংসারের মাঝখানে অসুস্থ দাঁত
মনে পড়ে, কিরকম এক বুনো হাঁস ছিল মেয়েটি
নিরানন্দ থেকে আনন্দে উত্তীর্ণ হওয়ার লাল পথে কিভাবে 
হাঁটতে পারত







ব্যর্থতা

ঘুম আবিষ্কারের পরে শিখেছি জেগে থাকা
কারা যেন বিক্রি করছে নদীগুলো, এমনকি সুন্দর বন থেকে   
যেবার হরিণ চুরি হল, কম বেশি ব্যর্থতায় কমরেডের হাত থেকে পড়ে
ভেঙ্গে গেল কাচবই---  গতকালের পৃষ্ঠা  ভরে গেছে সেইসব ব্যর্থতায়
সব উচ্ছন্নে দিয়ে আমি কী ম্যাজিক নিয়ে থেকেছি তবে?
আয়না ভেঙ্গে দেখব তো, ধারালো নখ দাম্ভিক করেছে কতটা !








আমি হিপোক্রেট

তোমার ফুলহাতা শার্টের ভিতর হাত ঢুকিয়ে হাঁটতে ইচ্ছে করে আমার  
আর মাত্র একষট্টিটা বছর তোমার নীল ষ্ট্রাইপ শার্টের হাতার ভিতর 
তোমার হাতের ভিতর আমার হিমলাল হৃদয় নিয়ে তুমুল একটি  
শীতকাল আমি কাটাবো! একসঙ্গে এক বেসিনে হাত ধোবো 
এক থালায় খাবো
যদি কেউ বলে , চারদিকে হত্যা , কেউ যদি বলে দায় না মিটিয়ে 
পালিয়ে যাওয়া...



বলব, আমি হিপোক্রেট...আমি পরাজিত
আমি হত্যা রোধ করতে পারিনা, আমি বৃক্ষ, বাঘ বাঁচাতে পারিনা



তোমার ষ্ট্রাইপ শার্টের পকেটে আমি লুকিয়ে রাখতে চাই আমার   
সকল পরাজয়, আমার একমাত্র শীত!






অভিমান

নির্ঘুম চোখের সামনে কেউ এসে দাঁড়ালে তোমার কাঁচা ঘুম
তোমাকে জাগিয়ে দেয়
যাকে দেখো সে আমার মত নয়, গানও  পৃথক
গোলাপ জামের অভিমান টের পাও?
এই না ফেরা পথে আমিতো আঁকড়ে ধরিনি কিছুই
কত কম চুমুতে আমরা নাম রেখেছি প্রেমের
জিভের বদলে কথা বলেছিল দীর্ঘশ্বাস
জানি, আমাদেরও ঘন্টা কয়েকের গল্পে কয়েক পৃষ্ঠার রাত
তবু অভিমান করি একই ভঙ্গিতে একই বিস্তারে







লুন্ঠিত দেবমূর্তি

দূর নির্দেশে আঙুল তুলে কে যেন বললো, ওইযে
চীবর পরিহিত শ্রমণ
প্রদক্ষিণ করছে বিহার
শত শত বছর পূর্বে আমিও ছিলাম সারি সারি কুলুঙ্গির গায়ে লুন্ঠিত দেবমূর্তি
রাত্রিভর জ্ব'লে নিঃশ্বেষ হওয়া তেলের ঘ্রাণ
আমার গায়েও
কেউ কী প্রদক্ষিণ করছ আমাকে , যে চীবরপরিহিত
অথচ শ্রমণ ?