বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

হাসিদা মুন


হাসিদা মুন

আর

আর কতকাল -
জলের গ্লাসে
পান করে যাবো
তরল নিভৃতি ... !
আর কতোটা
জমা হতে হবে
স্মৃতি ছেঁড়া বিস্মৃতি ?
আর কতপথ
হেঁটে গেলে হবে
এইনা পথের ইতি ...








অম্লজান

আগুন মাতাল করা অম্লজান আমি
নই কোন ছাই
কি যে বোঝাও তুমি নিশীথে
'ফ্রী' আছো - 'ফ্রী' নাই ...








লাইভ সারপ্রাইজ

আগুনেও এখন আগুণ খায়
সিংহাসন
শাসন
দুঃশাসন
মান অপমান
যে কোন প্যাটার্ন
গ্রীষ্মকালীন বৈকাল
বৃষ্টি ভেজা ছাতা
ইতিহাসের পাতা
রাজনীতির প্রথা
প্রেম
জীবিকা
স্মৃতি
কণ্ঠস্বর
ভজনালয় -
আমরা কেবল 'লাইভ সারপ্রাইজ' দেখে যাই....







প্রভাবহীন ভালোবাসা

আসক্তি নয়
প্রভাবহীন ভালোবাসা
সময় গণনা নয়
অবাধ ডুবা ভাসা
অনুরোধ নয়
অধিকারে বারবার
দমটাকে আটকে
সুখে জেরবার
সৌন্দর্য নয়
সহজ সাধ্য জানাজা'
ভারী হৃদয় ফেলে রেখে উবে যাই- কোন অজানায় ......







মনের রেলিং ধরে মনোলগ'

মখমল অন্ধকার , মেঘ ভাসমানতায় ছড়ায় বিভ্রান্তিকর জগতে শ্রান্তির সান্ত্বনা । নীরবতার আরশী উড়ে , এ যেন মনের সাথেই কথা কইছে মন , পড়শী মনের রেলিং ধরে ...
পুরোনো দৃষ্টি্র পিছনে পুরানো প্রতিচ্ছবিতে নতুন রংতুলি বুলায় হাত আটপৌরে জীবন বিলাসে । গ্র্যান্ড গ্রামোফোন থেকে সুর বেরিয়ে আসে ,চাঁদের গান গেয়ে প্রতিযোগিতা হারিয়ে দূরে হারায় চাঁদ নিজেই । নিজের বাল্যকালের শেলফে তাঁর কোন কাঁদবার কাহিনী নেই আর্কাইভে রাখার মতো করে । অস্তিত্বের বেড়াজালে বিস্তীর্ণ ও অবাধ ধূসর মরু । ভাসমান জানাজানি বিভ্রান্তিকর জগতে যে অস্তিত্ব আনে এসব জানা'রা আমি নগ্ন না বা পরিহিত কিনা তা সত্ত্বেও ক্লান্তিকর সেসব পর্যায় মানেনা । মুখ অবয়বে এসে বসে ,মাথার সমস্ত দিক থেকে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকে নিবিষ্ট দৃষ্টিতে । আমি স্থির ফাঁক খুঁজে ক্রমাগত আশপাশ দেখি আশাবাদী বাক্যাংশ সবচেয়ে কুচুটে মিশ্রণ এ যাবত বুঝাবুঝির ভাগশেষে । কুমারী ঋত্বিক শরীরের ভাষার বিরুদ্ধে রাখা যায়না অসতীত্ব , এটিতেও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত বা না হয় রহস্য অবশেষ ছড়ায় শেষ ধাপে । পুরানো সিজোফ্রেনিক ধারণা বৈদ্যুতিক বাল্বের মত অলৌকিকভাবে ছিঁড়ে যায় । মন সম্পর্কে কিছুটা বিরক্তিকর রায় উচ্চারণ করে মনেমনে । ক্ষুধার্ত অস্থির চোখের কোণে চেয়ে দেখি সর্বোচ্চ স্তরে অতীতের স্তরের বেশ অনেকটা জুড়ে , মুখ বুক চোখ হৃৎপিণ্ডেও সাটিন সমতলেও ব্যাপক চরাই উৎরাই । সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত নই এমনও জানা হৃদয় মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করা ঠাইহীন অন্ধকার কূপ জানাজানির ।সৎ হতে উরঙ্গ লজ্জায় সড়সড় করে সরে যাই , কণ্ঠস্বর ,কয়েকটি নীরব ভুল বোঝাবুঝির পর মোটামুটি শরীরের ভাষাকে বিরুদ্ধে রেখে মন দিয়েই বুঝে নিই । মাটির উপরের পরবর্তী ধাপ হলো - মাটিতেই ফিরে যাওয়া ...
জীবন চলে যায় গড়িয়ে মৃত্যু কাছে আসে ,তার সময় ও সুযোগের কথা কেউ জানে না । জানেনা এটি আশীর্বাদ অথবা অভিশাপ ...
বায়ুও জানেনা যেমন ঝড় কখোন কোথা হবে? অগণিত জিনিস ভরা সব জায়গায় স্থান খালি নেই ,নেই এই মূল্যবান ভাণ্ডার থেকে পথ
সরে যাবার অন্য কোন বশীকরণ মন্ত্র ।
এর ভিতরেই শিখতে হয় জীবনের পাঠ
কঠিন মূর্তিরা এখনও দাঁড়ানো কঠিনের উপরেই ।
শাখা ছাড়া তাল গাছ সটান দাঁড়ানো
নদীর বাঁক নিজ মতে বাঁকানো
বুনো আকর্ষী আরেক দেহে লতানো
দারুণ মানুষ মানুষ শেখা
মানুষ মানুষ দেখা
দূরের স্বর্গে এক ঈশ্বর সেও অচেনা
হাত তুলে আমার জন্য করে চলছে - অযুত নিযুত প্রার্থনা ...