রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৮

রবিন বনিক


রবিন বনিক

তুমি না এলে        

তুমি না এলে হয়তো ময়ূরপঙ্খী পেতাম না
তুমি না এলে হয়তো শঙখকীটও পেতাম না
তবুও উবু হয়ে আছো এতোকাল
মুখ গুঁজে আছো সামাজিক ঠোঁটে
জলের শব্দে দিগন্ত বুঝি মাথা নুয়ে আছে
তুমি না এলে হয়তো অবিরাম বর্ষন
তবুও  ছায়ার পাশে স্থীর হয়ে আছো
                         রাতের উপত্যকার মত
তুমি না এলে হয়তো রৌদ্রে যেতাম না
ওঠো, আজ মুগ্ধ হব
চাঁদে পা ঝুলিয়ে আজ মুগ্ধ হব
তরল রাতে দুজনে উড়াব ফানুস
দিগন্ত খুলেছি, দুজনে মুগ্ধ হব বলে…..







অনুতাপ

বিসর্জনে রেখে আসি সব অনুতাপ
আমি তো চেয়েছি নির্বান
যদি পারো অতল থেকে তুলে এনো ক্ষত যোনিপথ,
এখনো আছড়ে পড়ে ঢেউ বিবর্ণ পথে
এবার শান্ত কর ঢেউ,
জানি সন্ন্যাসী সেজে তুমিই রেখে যাবে বোধীজ্ঞ্যান
এবার শান্ত কর ঢেউ
আমি যে চেয়েছি নির্বান







নিরুত্তর

তুমি কি আজও  রাত করে ফিরবে?
নিরুত্তর তুমি, এভাবেই প্রস্থান করো প্রতিদিন
আর আমি আকাশের চোখে চোখ রাখি সারারাত
আমি যে জলের কাছে সমর্পিত
মৃত্যুর ফাঁকে একবার তীরের কাছে আসি
আজ বেশী রাত কোরোনা,
সকাল হলেই আমি মেঘ হয়ে যাবো







এবং আমি

শুনছো, আজ দুদিন হলো শরীরটা ভালো যাচ্ছে না
তুমি ব্যস্ত তাই বলার অবকাশ পাই নি,
মাঝে মাঝে গভীর খাদের শব্দ শুনতে পাই,
তুমি কি শব্দ গুনতে জানো?
তোমার সময় হলে আজ কি দেখিয়ে আনতে পারবে?
বুঝি, তোমার দিগন্ত বলে কোনো রেখা নেই
তুমিও মন দিয়েছ অশ্বমেধ যজ্ঞে
আমি কি ফোন করে লিখিয়ে নেব নাম?
বলোনা? শুধু পৌঁছে দেবে সেই যাদুঘরে
আমি আবার ফিরে এসে বলব এই আমার জন্মচাঁদ
কি গো? একটু গুনে দিতে পারবে সময়?
আমি যে শুনতে পাচ্ছি গভীর খাদের শব্দ
আমি শুনতে পাচ্ছি
জানি না, কখন যে পৌঁছে গেলাম খেয়াঘাটে,
হঠাৎ জেগে উঠে দেখি তোমার চোখ বেয়ে
গড়িয়ে পড়ছে জল
          আমার কবরে






চাঁদ আসে রোজ

তোমাকে ভালোলাগার কোনো কারন নেই
নামের ভেতর যে চারাগাছটি পুঁতেছিলে
তাতে আজ অসংখ্য ফুল
তোমাকে ভালোবাসার কোনো কারন নেই
রোজ রাতে স্বপ্ন দেখবো বলে
৮৬ টা ওড়না ভাসিয়েছো জলে
তোমাকে জড়িয়ে ধরার কোনো কারন নেই
রাতের তারায় আগুন লাগিয়ে
নির্ধিদায় চুমুক দিয়েছ কবিতায়

তবে যে কারণগুলো দাঁড়িয়ে আছে শূন্যে
তাতে একবার করে চাঁদ আসে রোজ