শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

গৌতম মাহাতো

 


গৌতম মাহাতো


জাহান্নামের ঘোড়া ৪


ফিরব বললেই কি ফেরা যায় সুধাময়ী?

য্যামোন যাব বলেও যাওয়া আর হয়ে ওঠেনি তিন পাহাড়ের গাঁয়ে।সেখানে সময় পাশে এসে বসে।

  এই ফেরার আর যাওয়ার মাঝেই মাঠে বাঁধা গরুটিরও প্রেম হয় এক সময়


                 প্রেম


সেও চিনে ফেলে ও প্রান্তে থাকা খুঁটির খোয়াব

বাকি সবই তো আমাদের এই দড়ির জীবন সুধাময়ী,

 ঘুমেও জড়িয়ে থাকে কন্ঠকমল

                    আমরা অতীব সাধারণ মাদারী


কে য্যানো রুহ্ কাঁপানো ডুগডুগি বাজিয়ে বলে --


       ইয়ে হ্যায় আসলি মাদারী কা খেল বাবু

                                মাদারী কা খেল


          বাচ্চে লোগ বাজাও তালি..

 

 

 

জাহান্নামের ঘোড়া ৫


এই ক বছর দেশালাই কিনে জমিয়েছি প্রচুর,একটা দুটো পাঁচ দশ কিম্বা আরও আরও অনেক বেশি- যা দিয়ে অনায়াসে জ্বালিয়ে দেওয়া যায় সাধের শহর, নগর,গ্রাম, মফস্বল বা সমগ্র হোডিং সভ্যতাও। সাড়ে বত্রিশ বছর ধরে জ্বলবে ব্যর্থ দেহের পাঠাগার।

     ঝলসে উঠবে পাঁচব্যাড়ার রত্ননশ্বর, আনত হিলহিলে বোধ আর সুস্থ কলস।কে কোথায় আছিস নাগরিক ও নগর পালক!      ধর      ধর


  কিন্তু কই!


কেউ কি খোঁজ পেয়েছে আমার

পায়নি বোধহয়, পাবেও না।আর পেলেই বা কি আসে যায়?এই তো এতকাল ছিঁড়েছো তো খুব।বোঝা বেঁধে গাদা করা শুধু বইতো নয়..


   বিধাতা বলেন বিপ্লব এভাবেই নাকি দানা পায়


কয়েক দান কাব্যি না করলে বিপ্লব কিসের

খিদে থাক উত্তর-পুরুষে,দূরের টিলা পেরিয়ে ভ্যানিস হয় গ্রামীণ আস্ত ট্রেন।

     জ্বলতে দাও ও ভাবেই,যেভাবে তুঁষের আগুন

        আর

       আমার বাসী শরীর জ্বলে- মস্তিষ্ক - পেট আর ক্ষুব্ধ দু চোখ। এভাবেই সারা নাগরিক জ্বালিয়ে ফিরে এসে দেখি রান্নাঘরে আগুনই জ্বলেনি তখনও..

 

 

 

 

জাহান্নামের ঘোড়া (৬)


যে সময় ফেলে চলে যায় কেউ তার নিবিড় ব্রতের খোঁজ লিখে রাখে জহরতি রাত।এমনই রাতের মুঠো ধরে আমার দেহ ঘিরে চলে চাষ আবাদ।তার কোনও নাম নেই জানো!তার না আছে সাকিন ঠিকানা।তবু তার চলে যাওয়া আছে,আছে রোদের ইজেলে ধোওয়া ছবিখানা।যদিও একদিন মুছে যাবে সব। মুছে যাবে মৌন শহর। দূর থেকে দেখা হবে হে গ্রামীন রেল, দেখা হবে ভৌমপ্রহর।


কার ভাঁড়ে কত কথা জমা হয় কত কথা থেকে যায় বাকি -এটুকু দেখার।কার রুহ্ কবে কতখানা হবে ছারখার।সে হিসেব কষে রেখো, বাকিটুকু ফেলে দিও নাগরিক যানে। জানিনা কোথায় মেলানো হবে সে হিসেব, খুঁজবে আমায় কোনও শীতের আজানে।