বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

কাকলি মান্না


কাকলি মান্না

কলঙ্ক

অন্ধকার থেকে কৃষ্ণবর্ণ অলঙ্কার খুলে দেখি
কলঙ্কের গায়ে চাঁদ লেগে আছে
ভোরের ঘ্রাণ নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে সে
এই রাস্তা তোমার পথ  চেয়ে
গুটিয়ে রাখে গোপনীয়তা
সংযম ভুলে পাহাড় নদী গাছেরা মাতে বসন্ত উৎসবে
দিনের শেষ নিভু আঁচে জ্বলতে থাকে সময়
কোন  উৎসবের  ই নিজস্ব কোন অশ্রু থাকে না







কৃষ্ণ

কৃষ্ণ নামের ছেলেটার কোনো বাঁশি নেই
যন্ত্রণা তার শরীরে যেন সুর হয়ে বাজে
অনাহারটুকু গাছের ডালে বেঁধে
তেপান্তরের মাঠে যায় রূপকথার  খোঁজে

বাঁশের  শরীর জুড়ে ক্লান্তির  ঘ্রাণ
যে সংকেত তাকে ডেকে নিয়ে গেছে আড়ালে
পারাপারের নৌকো খুলে  মেলে ধরেছে স্পর্শ গরল.
নীল নিথর  দেহের পাশে  জমাট বাঁধে রক্ত

শুধু পড়ে থাকে নাম
এক আধারহীন শরীরী আলাপ







অপেক্ষা

যোগাযোগ মুছে গেলে বিন্দু বিন্দু অপেক্ষা সাজায় বিশ্বাস
শুশ্রূষা এক অতিথি
আলো নিভে যাওয়া  ঘরে
ঐ যে মৃত্যু মিছিল ওতে সকলেই আমার অপরিচিত

বিশল্যকরণী খোঁজে শরীর
অভিমানী নদী  ফিরে পায় স্রোত