বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

প্রণব বসুরায়


প্রণব বসুরায়

কবিতা (১৩৭)

জামার আস্তিনে রং লেগে বুঝি সন্ধে হয়েছে
এইবার খুলে ফ্যালা ধূলো-সার্ট... পাথরের নুড়ি
ফেলে দিতে হয় অচেনা অন্ধকারে, মন ভার ক’রে...
ব্রণ ফেটে রক্ত বেরোয়, নাকের দুপাশে যেন
তেল মাখিয়ে
সে চলে গেছে বাগান পেরিয়ে, রুমাল সমেত—


এই রাত তীক্ষ্ণ ছুরির মতো মাখন কাটছে
কী অবলীলায় কেটে ফেলছে নীল ও সবুজ,
পিঙ্গল বর্ণের কেশ...
নিদ্রিতের পাশে শুতে হবে—অগত্যা উঠি,
হাতে নিই জলের গেলাস


যদি, সূর্য এইরাতে ফের উঠে পড়ে!







গর্জন

চুক্তিতে নাব্যতার সর্ত ছিলনা বলেই এতো গর্জন
ছড়িয়ে পড়ে পাহাড় থেকে আদিবাসী গ্রামের অন্দরে
তুমিও চঞ্চল হতে পারো, শ্যামল খেত তছনছ হয়ে গেলে

আমার সাক্ষীর কোন দাম নেই,
প্রাচীন বৃক্ষের থেকে
দু’একটি পাতা খসানো ছাড়া...
এইসব সামান্য অঙ্কের হিসেব
সহজে মেলেনা।
পোকাকাটা পুথিপত্র
মহাফেজখানায় জমিয়ে রেখেছেন মহানাগরিক
সব গবেষণা তাই আপাতত স্থগিত হয়ে গেলো

আশি লক্ষ চোখ আমায় ঝলসে দিচ্ছে
তোমার সমস্ত বই, দ্যাখো পুড়ে গেলো ক্রমে

আমরা দাঁড়িয়ে থাকি স্তব্ধ পাথরে
আমরা পা রাখি ছাই-মাখা পথে...






তারা-কথা (৪২)

কয়েকটা চুক্তি বাতিল হলেও কাক বসে ইলেক্ট্রিক-তারে
.................. এইই সার সত্য, জীবন ও জীবিকার—
অতল কুয়োর জলে কেউ কেউ মুখ দ্যাখে
.................. গোলাকার আকাশ দ্যাখে
পীরিতির কথা আচারের মতো লাগে—যখন দুপুর

আজীবন বেহুঁশ লোকটা সবুজ দরজায় কড়া নাড়ে
......... ভুল বাড়ি, ভুল ঠিকানার
প্রতিরাতে হাতের লাঠিটা জমা রাখে কবরখানায়
তারপর, নদীচরে শুয়ে পড়ে—ঘুমের আদরে

মাঝে মাঝে জল এসে ছুঁয়ে যায় তাকে