বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

নির্মাল্য ঘোষ


নির্মাল্য ঘোষ

পূর্ণিমা

ইতিহাস টেনে টেনে নিয়ে চলে
অনেক দূর
আমি যেরকম ভাস্কর্য ছিলাম-
তোমার প্রশ্রয় ছিল ঠিক সেই অনুযায়ী...
কেউ দেয় কি?
এখন কেউ দেয় না..
তুমি দিতে...
তোমার বুকে পিঠে আরো আরো না বলা
জায়গাতে কিম্বা না বলা আবেগের মধ্যে 
আমি জলদাপাড়ার গন্ধ পেতাম...
কখনো লাটাগুড়ি কিম্বা চিলাপাতা অথবা
গোরুমারা রামসাই..
সংস্কৃতি ছাপিয়ে প্রাকৃতিক বন্য প্রাণ
জেগে উঠত...
আমি জান্তব প্রাণ হাতে করে নিয়ে
তোমার অভযারণ্যে ঘোরাফেরা করতাম
অবলীলাক্রমে
চোরা শিকারী সাহস পেত না...
আসলে আমার প্রতিটি বারে তুমি রবিবার
এঁকে দিতে একটু একটু করে ...
আর প্রতিটি রাতে পূর্ণিমা







বিরোধ

আমার তছনছ ইতিহাসে একটা
অধ্যায় রাখব ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে...
আমার মনের গভীরে কবর খুড়তে খুড়তে
কতদিন তোমাকে স্পর্শ করেছি
জানো না...
এখন একটি ছবি পাঠালাম শেষ মুহুর্তে
কিছু পাবার আশায়..
তবু কিছু কথা থেকেই যায়...
সবটাই ওরকম নয়...
ঐ পাপহীন দৃষ্টি সহ্য করার ক্ষমতা
আমার নেই...
প্রেমে পড়ে যাব..
সমাজ আর প্রকৃতির বিরোধ
চলতেই থাকবে...






একবার

কারো কারো মুখ দেখতে ইচ্ছে করে
সেসময়...
তোমার দ্বীপ দূরে দেখা যায় কোথাও...
আমি কাশবনে করোনা খুঁজি না শুধু শুধু...
বিপন্ন অস্তিত্ব হয়ে ঘুরে বেড়াই এখানে
সেখানে একটু একটু করে...
তুমিই জানো সিঁধকাঠি কোথায় আছে...
পুলিশ শুধু শুধু চোরকে ধরে নিয়ে যায়
আসলে একটি ছবি হঠাৎ করে জীবন্ত
হয়ে ওঠে
বাকি জীবনটা হাওয়া হয়ে কাটিয়ে
দেবার আগে...
একবার দেখা করতে চাই