শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

দেবযানী বসু


দেবযানী বসু

ওপ্রান্ত

বসন্ত আসার আগে আজান দেয়। পায়ের তলার টেকটনিক প্লেট নড়াচড়া করে সবসময়। আমাদের কাগজপত্র নিয়ে ছোটাছুটি করার সময় বেড়েছে। হাড়ের যন্ত্রণা বুঝে কাগজপত্র জাগতিক থাকে না। পদবি উড়িয়ে দেবার খুশিতে পলাশফুল বেহিসাবি। মনে না থাকার দায়িত্ব উচিত ছিল কি ছিল নার ছলনায় বাঁধা পড়েছে। আমরা জানতে চাই মর্নিং গ্লোরি ফুলের বংশগৌরব। এই যুদ্ধগ্ৰহ ছেড়ে যেতে চাই না, আবার আসিব ফিরে। ইকেবানা ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশবিশ বসন্তের একত্রিশ উচ্চারণ রেশমি ছোঁয়ায়।







হট্টগোল

একশোটি দ্বীপ শান্ত রেখে এখন ঐকিক শব্দরা গং ঘোষণা করছে। এ সময়ে হরিণের শিং চকচক করে। মডেল শত্রুর খোঁজে আলোয়ান গায়ে বেরিয়েছি। পাড়ার পলাশ গাছ সাক্ষী। বাচ্চাদের হৈচৈ মাখা বল টাওয়ার ছুঁয়ে ফেলছে। দাঁত ছরকুটে যাচ্ছে ক্যামেরার। বহুফসলী জমির ধর্ষণ শেষ হলে ইতিহাসের ধর্ষিত মানুষরা ঘূণদলিল বুকে বসে থাকে। খুব সাবধানে তৎসম শব্দের মলম মালিশ করে যাই লেখা দলিলে। বংশগতির ফুলে পঙ্গপাল তাড়াচ্ছে কুসুমকিশোরী।







রোদের রহস্য

মাঘের কুয়াশা বেশ ঘাগু। বাঘের হরমোন শুঁকে কাটল তেরো যুগ। মানুষ সাক্ষী রেখে নিজের ঘেঁয়ো লেজ কেটে ফেলি। মাথা গোলমালের নবীন কিশলয় দাঁত মাথার ভেতর। মুড়ো সুস্বাদু হয়ে উঠছে। সিলভার প্ল্যাথ চেয়ে এরি মধ্যে দখিন হাওয়া ছুটে আসে। দুপুর গরম হচ্ছে পেগে পেগে মেঘে মেঘে। কঠিন মাঘ আর বাঘের মধ্যে কমেছে সম্প্রসারণশীলতা। অবাধ্য ফড়িংয়ের চাল কেন দিলাম না শেষতক এর কৈফিয়ত হাজারটা সময়ে লিখে দেব।