বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

জারা সোমা


জারা সোমা

বন্ধক

আদপেই জীবনে থাকেনা
আবাহন- বিসর্জনের শুদ্ধতা
গোঁজামিল খোলা খামে
পচনধরা শব্দের আহাজারি

মাপা স্কোয়ারফিটে ছোঁয়না হেমন্ত
কেবল বদলে যায় তারিখ
হেমলক কুড়োতে খুঁচিয়ে আসি
সাপের গর্ত, আলোর উৎসবে
আমার আমন্ত্রণ নেই

চিরকালের জন্য বন্ধক রেখেছি অন্ধকার......





পরকীয়া............

আকাশ আবার দিচ্ছে ডাক
দমকা হাওয়ায় ভেসে যেতাম
নন্দনকে আজ সাক্ষী রেখে
ফেরযদি তোর সঙ্গী হোতাম

নিন্দে মন্দ করুক  লোকে
এবয়সে কিইবা আসে যায়
সদনের এক চায়ের স্টলে
দেখব আলো কনে দেখায়

একটু হাঁটব হাতটা ধরে
তারচেয়ে বেশি কিছু নয়
একটু নাহয় রাখ সরিয়ে
দেখিয়েছে সমাজ যতখানি ভয়

আঙুল যদি একটুকু ছোঁয়
সরিয়ে চুল কপাল থেকে
ফিসফিসিয়ে বলি কানে কানে
টিপখানা দেখ গিয়েছে বেঁকে

সেইতো আবার ফিরে যাওয়া
তুইও আবার ধরবি ট্রেন
ইমোশন সামলে রাখতে হবে
সজাগ সিগন্যাল দিচ্ছে ব্রেন

কানহা তোকে যতই ডাকি
রাধা ডাক শুনতে মানা
গল্পগুলোর শেষটা কেমন
সেকথা প্রায় সবারই জানা

থাকুক নাহয় এটুকু রেশ
একটু পাপ ছলকে পড়ুক
নিঃসঙ্গতা সাথী  শব্দ গুলো
কবিতা হয়ে আগলে রাখুক।






সম্বিত - সংসার - চত্রুব্যূহ

সোহাগী সিন্দুর কৌটকে
উল্টে দিয়েছি দিগন্ত রেখায়
নেমে আসে গোধূলি

উন্মত্ত  আকাশের কপালে মেঘ
এঁকে দেয় গাঢ় চুমু
আসকারা পায় স্পর্ধা
বিভোর হবার মূহুর্তে
বেজে ওঠে তীক্ষ্ম শিস
ধড়পড়িয়ে  উঠে দেখি বাজছে
ঘড়ির  বেসুরো আলার্ম, বাকি অংশে

সম্বিত - সংসার - চত্রুব্যূহ।।