সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

তৌহীদা ইয়াকুব


তৌহীদা ইয়াকুব

ক্ষুব্ধ কলম

কি দারুণ দেখ খেলে যায় রুগ্নতা 
একটা বিভেদ কে আরেকটা বিভেদের সামনে দাঁড়
করিয়ে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেয়া পূর্বাপর চক্র। 
কিছু গুম, কিছু ধর্ষ্‌ণ, কিছু বীভৎস মৃত্যু কে
উপেক্ষায় রেখে, অবলীলায় পাশ ফিরে ঘুম।
তারপর প্রার্থনালয়ে আরেক টা বোধিজন্মের  প্রার্থনা সুর 
নিমঘ্ন করে আহ্নিক গতি।

জারিত  শিকড়ের  শ্রম ও সম্ভ্রম  যত্নের ভার নিয়ে 
শিশুদের হাত ধরে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়
চতুর ঢামন । নব্য  বালাখানায় উঠে আসা  সংবাদ থেকে
অবিশ্রুত দৃশ্য  অনায়াসে উধাও  হতে থাকে। 

অনাহুত মৃত্যু পাশে ঘুম এসে চুপচাপ শুয়ে থাকে ঘাসে।
মধ্যযামে নিশ্চুপ  বারান্দায় পরে থাকে দেহাতি জ্যোৎস্না
ছায়া থেকে মুছে নিয়ে সব টুকু মায়া
অন্ধকার প্রেতের মত তাকিয়ে থাকে বারমাস। 
অবিশ্বাস দোল খেতে খেতে উবে যায় বিস্ময়ের কাছে
কুঁড়ি -কমলের আসরে ।
প্রিয়তম  ভু-ভাগে এখন 
প্রাচীন গুহা , শিলালিপি, কড়িকাঠ থেকে অপসারিত  চারুকলা
কেবলি আদিম কেবলি কামুক ।

এখানে ওখানে বিচ্ছিন্ন  উৎস মুখ আগুনের
সব সংগীত থেমে গেছে অনেক আগেই।

অন্তরিক্ষের কোথাও কোন  পাঠ  নেই ,
অনাবশ্যক  ভিড়  অসংখ্য দেয়ালের পিঠ ...

এখানে নিয়ত  রক্ত ধুয়ে নিয়ে জল খায়  দেবতাদের  হাত ।
এখানে  ব্যভিচারি আঁধারের ওপারে   
নন্দনতত্ত্ব দূর পরাহত।
এখানে  দহন বয়ে নেয় বৃষ্টি-মেঘ 
অতলে-শূন্যে, কেবলি অজানায় । 

কিছু রং নিরিবিলি  বসে আছে 
স্পর্ধার অবয়ব দিবে বলে।
আর আমরা এক এক জন  তুলে নিব
ক্ষুব্ধ কলমের পাশে পরে থাকা হুঙ্কার।