বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮

রত্নদীপা দে ঘোষ


রত্নদীপা দে ঘোষ

চামচিকে ১

যে কবির নাম দেওয়া হল তা মিথ্যে ( সেই কারণেই তৎক্ষণাৎ মুছে দেওা হল পুরো থ্রেড)
( বিচিদুটি কি ঝরে গ্যাছে , একটুও কি নেই বাকি?)
অন্ধকার হয়ে আছে অই কবি। যার একটি বই মাত্র, সাতটি নয়. তবু ধ্রুবতারাময়।
অই কবির কোনো বই সিগনেট থেকে বের হয় নি। তবু কবিহৃদয়। দারুচিনি তারারা। ।
কফিহাউজ মিথ্যে। ঢোঁরাই। চরিত এবং তার মানস এবং মঙ্গলকাব্যের ঘটনাটি মিথ্যে।
বরিষ্ঠকবিময়। অশনির ধূমকেতু। আলোচনাটাই মিথ্যে। তুমি বলেছিলে।
''' কবিযশপ্রার্থিনী এই মহিলা কবির জ্ঞান দেখে , আমরা দুজনে পালিয়ে বাঁচি'' ...
এই বাক্যটি ভয়ঙ্কর। এবং মিথ্যে ...চন্দনবনের ফুলপুস্পের মতো মিথ্যে।
ওরে চামচিকে,
বইমেলায় মহিলাদের পেছন পেছন ঘুরে প্রেম নিবেদন( ২০১৫ ... ২৫ শে ফেব্রুয়ারি)
( মেরুদণ্ড নেই , বিচি নেই ... ঘরে বউ যুবতী, তবু খুঁড়িদের প্রেম নিবেদন।
নিজের বই বিক্রি করার জন্যে ভিখিরির মতো বন্ধুদের হাত ধরে টানাটানি।
( ২০১৫, ২৫ শে ফেব্রুয়ারী)
বন্ধ হোক। ওরে শুভেন্দু চামচিকে।






চামচিকে ২

তোর অই চামচিকেপানা মুখ
কত বড় লেঠেল রে তুই
তোর বেল্লেপনা দেখে সোনাগাছ যে লজ্জায় মরে
ওরে উল্লাস , ওরে চামচিকে অলকানন্দ মহারাজ
অলীক কৃষ্ণচুড়ার নরম চিয়ার্স
( তা দিয়ে কতবার কতজনকে পারলে ডিম হে চামচিকে দিগম্বর)

কবে যে তোকে দেখব আবার প্রাণভোরে
আজ এই হোলির দিনে নিতে চাই তোকে চিনে ...
সেই কবে তোকে পেয়েছিলাম ( ১৪ই ফেব্রুয়ারীর)
এক অতলান্তিক গুহায় রসের দিনে ...
তুই আমার রসের নাগর ...
আর কত দিবি হুমকি আমায় ... ভালবাসা আড়াল করে?






চামচিকে ৩

তুমি যা কিছু বলে ছিলে সব মিথ্যে ওগো প্রাণের চামচিকে ...
তুমি বলেছিলে আমার পোশাক আশাক তোমাকে পাগল করে দিয়েছে , তুমি বলেছিলে মেঘের চাইতেও বেশি মেঘ ডাকে আমার দুধের বোঁটা। তুমি আমার দুধের স্বর , তুমি শরদিন্দু ... তোমাকে চেয়েছি বেলায় অবেলায় প্রণয় খেলায় ...
ওগো চামচিকে শরদিন্দু ... তোমার অই মাতোয়ারা দেখে আমি যে ভুলেছি আমার ঘর সংসার ... বাতিওয়ালা পৃথিবীর বাতায়ন দিয়েছি খুলে ... এসো তুমি একবার এসো ।। এসো ... রঙের নেশায় দুধসর খেতে সাদাক্ষেতের শয্যায়।
শরদিন্দু ...তুমি রাঘব ডাকাত ... প্রবল মেরুদণ্ড তোমার দুহাতে ছড়ানো ডানা।
চুরি করে নিয়েছ ... আমার কামিনীময় দোতরা।
তোমার ক্ষণিক-ছন্দ। আমার অবাধ্য প্রাণে সেই তো প্রানারাম...
চলো , সুইসাইড পয়েন্টের আলোয় আমরা শিকার করে নিই... উতল হাওয়ার অনিন্দ্য শিকারা।
চোরা-কুঠার ... ওগো সুখ.. এক চামচ শুভসূর্য। কেবল জানি তোমায়।
তার চাইতেও অনেক বেশি অজানা তুমি ...






চামচিকে ৪

এই শোনো না চামচিকে ... জানো তুমি
কাল রাত্তিরে দেখেছি স্বপ্ন ... তুমি আমি বইপাড়ায় একসাথে
তুমি বললে তুমি আমায় বই কিনে দেবে নতুন এক কবির বই
কবির পরনে ঢোরাই চরিত। কবির কপালে মঙ্গল কাব্যের ছটা।
পড়াশুনো করেনি সে , তবু তার কবিতায় কাব্যের ঘনঘটা।
চামচিকে , আমি চাই তুমি সেই কবিনীর না-লেখা আনন্দবইখানি
আমাকে কিনে দাও। আমি পরি সেই কবিনির দুঃখের সাঁতার ...
তার জল ছল ছল আয়ু ... তার দোপাটির ভুরু ... সব ... সব ... সবটুকু জুঁইগন্ধের বরজ ...
কিনে দেবে ওগো সুখময় ... পতিতপাবন চামচিকে ...
সেই যশের কাঙালিনী কবির আনন্দ-বইখানি কিনে দেবে আমাকে?
যা আজো হয়নি প্রকাশিত? ...






চামচিকে ৫

প্রিয় চামচিকে
কেমন আছো? আমার এখানে ভরামাদল। তোমার ? নীল শিফনের ঝর্ণা। তোমার সাথে এখন তোমার কোন প্রেমিকা? জর্জেটের চশমা পরা দু চোখ , সেও কি আমার মতো নাভির তলায় কবিতা লেখে ... আজ দ্যাখা হল আরেক প্রেমিকার সাথে ... পৃথিকা তার নাম ...
সেই যে সেবার তাকে নিয়ে গিয়েছিলে লালবাজারে ... হলুদ রাঙানো সবুজে ... মনে আছে তোমার ... তোমার পুলিসবন্ধুকে দেখে সে নাকি ভারি ভয় পেয়েছিল ... আর তুমি জাপটে রেখেছিলে ওমের চাদরে ?
চামচিকে। আমিও তোমার সেই প্রেমিকা হবো। তোমায় নিয়ে লালবাজারে যাবো। লালফুলের মালা গাঁথবো ... না না ভয় দেখি ও না আমায় ... আমি আর দুষ্টুমি করবো নাকো ... মাথা খাও আমার ... বুঝো না ভুল ... চলো সাইবার ক্রাইম করি এক সাথে ... নানা রকমের ভুল ...
এই চামচিকে ... ... এসো না কাছে ... আজ এমন হোলিকা গোধূলি ... আজ চাঁদ দিলবাহার ... .. এসো , আজ আইন তুলে নিই নিজের হাতে ...