শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

মোঃ সরোয়ার জাহান




মোঃ সরোয়ার জাহান

সূর্যের তুষার
-----------
আমিও হতে পারি
হতে পারি কাব্য
কাব্যের পিঠে মেঘেদের সাথে
ভাসিতে ভাসিতে এতোটা বেহিসাবি পথে!
তোমার সুতনু শরীর বেয়ে সূর্যের তুষার
জ্বালিয়ে ছিলো প্রেমময় চুম্বনের আরষ্টতা
উষ্ণতার জাল বুনুনে দুজন শিল্পির একটি,
একটি মাত্র, চিত্রকল্প
প্রাণের ভাষায় এঁকে যায় মহাকাব্য 
পুরুষ ও নারী সত্তার পরতে পরতে!
ধুয়ে মুছে সত্যি মিথ্যে
বৃত্তের ভেতরে বৃত্ত ভাঙ্গতে
নতুন কক্ষপথে নতুন বৃত্তে
ছুটে চলা আমাদের
মিথ্যার বেড়া-জাল ভেঙ্গে
হৃদয় খরিত রক্তাত্ত ভালোবাসার
স্নাত-জলে হৃদয়-খোয়ানো
দুঃখ বোধে
বলতে চাওয়া শব্দের আড়ষ্টতায়
দপকরে জ্বলে ওঠে,
লাল-নীল রঙের শব্দের মশাল!
অসূর্যস্পশ্যা তার রূপের বন্যায়
বৃষ্টি নামে মেঘ ভেঙ্গে
বিদ্যুৎ-ঝলকে আকাশটা দুখানা করে
ঝরে যায় প্রেম আকাশের ফাঁকে-ফাঁকে
হৃদয়ের তোলপাড় শান্ত হলে
দূর আকাশ থেকে
প্রেম আসে নেমে
মুক্তিহীন জাগরণে
নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে
খোদার হাতে এলাম রেখে 
তোমার আমার প্রেমএক পৃথিবী অজান্তে !
=================================






চাঁদের শিশির
----------
প্রভাতের অবগুণ্ঠন হতে প্রকৃতির পরম প্রশান্তিতে
দূরে বহুদূরে উড়ে উড়ে কাব্যের অদৃশ্য পাখনাতে
দুর্দান্ত গতিশীল বাতাসে একটি প্রলম্বিত লয় হয়ে
তীব্র তীক্ষ্ণ শিসের মতো কার গন্ধগেঁথে ছুটে যায়
তার তীক্ষ্ণ নাকে ইচ্ছাকৃত স্পর্শের বাইরে
জীবন নেমেছে প্লাবনে
বাতাসে উড়িয়ে নিতে
আমার সকল নিস্তব্ধ নিঃশ্বাস,
তুমি কি সূর্যের অধরা ?
তেজদীপ্ত চাঁদের শিশির কি তুমি?
দূর থেকে
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখ,
পৃথিবীর ঘর আলো করে,
ঘৃনার হাত মুচড়ে দিচ্ছে
নিরাপদ ভালোবাসা নির্বিঘ্ন উষ্ণ মাটিতে!
==============================






ভাষার কিষান চোখে
--------------
দূর আকাশের গায়ে রক্তমেঘ দেখে
আগুন জ্বলছে একজোড়া ফুসফুসে
ভাষার কিষান চোখে
দেখি অসম জীবন
হৃদয়ের ত্বকে লাবণ্য নেই আর
আছে চৈত্রের চাঁদ নির্ভার পূর্নিমা
রাত্রিবেলা স্বপ্নে বুনে যায় নেশার উজ্জ্বল শস্য
তৃষ্ণা ফিরে পায় প্রিয়-পূ্র্নতা জ্যোৎস্নার ক্রন্দন
আকাশের বুক খুঁড়ে ছুটে যায় নক্ষত্র অনন্তে
খেয়ে যায় দৃষ্টির স্বাধীনতা চোখে বুকে হৃদয়ে
=================================






‘স্বপ্নের ঘোরে
----------------------------------------
যুগে যুগে অগস্ত্য যাত্রায় থেমে যায় স্বপ্নের ঘোর
স্বপ্নের তপ্ত ডানায় রয়ে যায় রেশটুকু
তীব্র সূর্যের সামনেও শৃঙ্খলে বাঁধা স্বপ্নের ঘোরে !
তবু,তার চরন তলা দিয়েই পৃথিবীর সব জীর্নতা
চূর্ন করে ধূলির মাঝারে তার চিবুক ছুঁয়েই
দূর করে পৃথিবীর সবটুকু কুলষ !
তার চোখের অশ্রুজল দিয়েই বানায়
রোমাঞ্চিত যমুনা
আকাশে ভিড় করা নক্ষত্রের দল
তাকে দেখেই ভুলে যায় গহীনের
সব কষ্ট বোধ গুলো
নিমিষেই খাঁখাঁ দিন তার আগমনেই
হয়ে যায় মেঘ নামায় বৃষ্টি রুক্ষ শুস্ক স্তব্ধতায়
কোন এক রাত্রি-চর কবির নিজস্ব গ্রহ পথে
অনন্ত স্বপ্নের ঘোর শেষেও!
====================







স্মৃতিতে ফুঁ দিয়ে
------------------
অন্ধকার থেকে আলোয় আসার অপেক্ষায়
খোদাই-করা কত কত অক্ষর
উদ্দীপ্ত উল্লাসে
শিরায় শিরায় তোলে শিহরন
হারিয়ে যায় প্রান
ধবধবে তুষারের তলায়
জানি গো জানি
শীত এলে মরে যায় পৃথিবী
ঝরে যায় পাতা স্মৃতিতে ফুঁ দিয়ে !
কিন্তু আমি যে মহাশূন্যে ভাসমান
শূন্যতার আঙুলে নখ ফেলে
বেদনার হুকে তুলে আনি
ঝুলন্ত বেদনার স্বাদ !
আলোকের ফেরত প্রক্ষেপণের মতো
কিম্বা জুলিয়েট জ্যোৎস্নায়
অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপাতের শব্দ সাজাই
তোমারই আকাঙ্ক্ষা করা
এক একটা স্বপ্নের খরকুটোর মত...!
                                      ==========================