বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

অরুণ কুমার দাস



অরুণ কুমার দাস

মা নু ষ / ১
কতো অভ্যেস নিখোঁজ হচ্ছে
বাতাস বদলে, চরিত্র বদলে -

আমাদের ড্রইংরুমের দুটো এন্ট্রান্স
অর্থাৎ উভগামী প্রশ্বাস

শান্তপাতারা ঘুমায়,সবুজ সবুজ মুখ
মুখের অভ্যন্তরে মোরগ ডেকেওঠে
পিচ্ছিল বিজ্ঞাপন -  
ঘুম খুইয়ে হাতে-নাতে ধরাপড়ি                                                                          

পাসপোর্ট ছাড়া চারদিকের কোলাহল বুমেরাং
আমার কাছেই প্রশ্রয় শিখে ধাবমান দিন
পেছনের আমি সামনের আমিকে চটকায়
চাকা চাকা সময় গিলছি
ম্যনগ্রোভ সন্ধ্যা

এমাসের এলিজি লিখতে বশেছি
সাদাহাতির দ্বীপটা দূরে চলেগেল
লৌকিক বিশ্বাস হামাশিখেই সংসারী

বৃত্তের বাইরে মধ্যরাত ডিম নিয়ে বসেথাকে-
আর একটা ঝড় চাইছি

ফিদাহুশেনের ঘোড়ারা ঘাস খায়

মখমলের বিছানায় ভোররাতের পালক
রোদ্দুর ওঠার আগেই শেষতাস ফেলে
স্নান শিখি
রক্তের দূর্নাম আঙুল কাটে
পাশেই সুপুরি বাগান
চড়কমেলার জ্যোৎস্নায় পাড়া ভাসছে
ডুবুরি নামিয়ে জল মাপি
কেউ দূঃস্বপ্ন নয়
কেউ কেউ চা- পায়ী না হয়েও দিব্যি গিলেনিচ্ছে
সংযম

আবার মানুষ গননা শুরুহল
আমার বুকের মধ্যে তাকাই- কোথায় মানুষ
সবাই বিদেহী ------




মা নু ষ /২
দুই মুখওলা বোধ

হেঁটে যাই, তারার পাহাড়ে আলো
জ্যোতিষ্কের ছায়ায় ভাঙা ভাঙা মেঘ
আদুল শরীর
আল্প লাল

মাইল মাইল জ্যোৎস্নার বিজ্ঞাপন
তারা খসল, টেবিল ফাঁকাকরে
যুক্তি খুঁজছি

তর্কের খাতির, জল মিশেযায় -

ধরো খাতনা না করেই
গোড়া থেকেই কাটাহল শিশ্ন
(হিজড়ে পট্টিতে ভরেযেত দেশটা)

বুকেহাত দিয়ে বলুনতো-
আপনি একটুও হিজড়ে নন ---




ম নু ষ /৩
সত্যি মানুষ মিথ্যে মানুষ
হাইওয়ের মেঘ সরেগেলে -
মোমহাত পাশে এসে দাঁড়ায়
জলপাই বনের ছায়ায় একাকী ঝর্ণার সংগীত

অক্ষম শব্দেরা রুক্ষতাকে ঠেলছে
বাতাবরন পালটায়
মাছের জন্য নতুন আকোরিয়াম
বিড়াল উঁকি -
আমি অথবা আপনি কেউই মধ্যরাতকে
অস্বিকার করতে পারিনা

বুকের নির্মোকে ক্রাইমব্রাঞ্চ
বড় হয়, বড় হতে হতে আকাশ
সেই মানুষের আকাশ চাঁদের আকাশে
একপিঠে হেলান দিয়ে রবীন্দ্রনাথ
অন্যপিঠ অন্ধকার

বন পুড়ছে, পিটুইটারীর খেলনা গড়াহল
জলমিশিয়ে সম্পর্ক খানিক তরল
উভগামী, নাস্তিক হতে হতে কউন্টডাউন শুরু

দ্বীপটা জলের মধ্যে ভেসে আছে
এই দ্বীপেই গড়েউঠেছে প্যাপিরাশ শহর




মা নু ষ /৪
দেহের মধ্যে
আছি হৃদয় বিভাজিকায়
পুষ্পকরথসারা আকাশ চাঁদনী
সিম্ফনী উড়ছে ঝর্নার চারপাশে

কেমন করে তুমি কমার্শিয়াল!
নির্জন হয়ে যাও -
পাখির বাশায় একা ডিম

হাত ঘুরালে সমগ্র পৃথিবী জলপাই তেলের
মধ্যে ডুবে যায়স্টপএজ -
আবার জন্মাব গোঁফদাড়ি সহ
জ্ঞানবৃক্ষের ডালে

প্রতিস্থাপনের কথা উঠলেই কেমন মিইয়ে যাও
মুখস্ত বিজ্ঞাপনের মতন, সাতবার প্রদক্ষিণ করে
প্রনাম রাখতেই বীজফুটে ফলবান বৃক্ষ
ফুল ঝরেপড়ে

কার্নিশের আড়ালে দাঁড়িয়ে সয়ং সূর্যদেব
দর্শনেন্দ্রিয় সার্থক করে পুকুরের জলে
ডুবেগেল চাঁদ




মা নু ষ /৫
রঙমেখে ভাত সেজে ওঠে
এক একটা মুখ আলাদা স্রোত
আলাদা মুখোশ

গড়াপেটা করে ম্যাচটা শেষপর্যন্ত সংবাদ
তারাদের পথে পথে উল্কা ঘুরে বেড়ায়
নির্ভিক দর্শন
এই শাস্ত্রজ্ঞান নিয়ে শুয়েপড়ি
দ্বন্ধযুদ্ধেরকথা ভাবি

স্বয়ম্বরা হতে এসে মোহনায় হাঁস ডুবে যায়

অশ্বমেধ শেষ করে ফিরেযায় ঘোড়া
ঘোড়াদের বিশাল পোস্টার, ওর্কশপ শেষ
হলনা
তুলি ও কলম ডুবছে জলে

ঘুমে জলঢেলে রাত শেষ

প্রজাদের নৈমিত্তিক কাব্য
যে অন্ধকারটা খুঁজছি - বুকের মধ্যে
চকলেট গাছটা হেঁটে এলো
অনেক অনেক জন্ম পারকরে

আকাশ একটুও বদলায়নি
মেঘ ভুলেগেছে পরিশ্রুত সেই মুখ


মুখটা এখন মুখোশ শিখেছে -----