শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬

মোস্তফা নূর



মোস্তফা নূর

বুড়িনী জলদাসী আমার কন্যা
=======================
বৈঞ্জারী মাছের খাঁচায় লাথি দিলে
কালু মিয়ার তড়িৎ বিচার সাঁঝ বাজারে
বুড়িনীর বাজার-ভিঁটি স্থায়ী হয় সেদিন
গলা উঁচিয়ে উচ্চস্বরে আব্বা ডাকতো
মাছ বাজারে সবার ইর্ষাকাতর চেহারা
তার আবেগের চেয়ে দামী কিছু সওদা নেই
হায়! ক্যাঞ্চারে মরেছে বুড়িনী জলদাসী !
তার কাকা হতে পিতা হই অনায়াসে
একটি ন্যায় বিচার কিংবা জীবন
বুড়িনী জলদাসী আমার কণ্যা।


উল্টোচিত্র; সওদাপাতিতে হেরেছি সারা জীবন
উচ্চমূল্যে কিনেছি কষ্ট বিশেষ
হাটের ভুলগলি এড়াতে পারিনি
দেখিনি আকাশের রং বিশালতা
বিশ্বাসে অন্ধ থেকেছি বেমালুম
ছাপড়ার ছাদ কালো রেক্সীনে মোড়া ।
৩০/০৯/১৬ ইং।




তার সাথে যাবো
=======================
রঙিন চৌওড়া পাড় নির্ভাঁজ রেখে
শাড়ী পরতে জানোতো?
মুকুলিত মনের যোজনা মেখে
হাসতে পারো অবিরাম?
যে ডেকে নিতে পারো
একান্ত সুবাসে আমন্ত্রনে গহীন অতলে
তার সাথে যাবো, এখন বুঝি।
বিষাক্ত ভাগ্যকে স্নাত শুদ্ধ করা যাবে
নির্দিধায় চুবিয়ে ফিরে পাবো হৃদয়
উপযোগ বুঝে পরিমিত সারল্য এবং
স্থিতিতে মুড়ে দিতে আছেকি কেউ?
থাকে যদি অমলিন কিছু ভালোবাসা,
তাহলে এসো মালিনী উড়বো দখিনে
সহজ সরল বেহিসেবী জীবন টেনে
নইলে আাবারো বিষাক্ত হবো
মেনে নেবোনা মৃত্যু অবধি ভুল জীবন।
২৮/০৯/১৬ ইং।




সৈয়দ হক ধরলার কবি
============================
ধরলার বিক্ষিপ্ত যৌবন যেভাবে সীমায়িত
শহররক্ষা বাঁধ শাসন করে থামিয়েছে তাকে
যদি বলো হরকাবাণে উথলে উঠা ধরলা
পাহাড়ী নদীর গ্রাসে জন্মস্থান তলিয়ে গেলেও
যে কবি শেষমেষ ওই প্রমত্তার কাছেইতো 
সামাহিত হয়ে আবারো শুনতে চাইবেন মৌজ।

ঢাকার সাথে ওই লাশটির কাড়াকাড়ি হলে
কুড়িগ্রামের বাজার সুন্দরী কিংবা
রাজধানীর খেলারাম কে জিতবে বিশেষ
ম্লান মুখে শূণ্যতা মাথায় চেপে ফিরে যাবে কে ?
ফুসফুস ফুটো হয়ে কত দিন ঝরেছে হেঁয়ালী।
গদ্যে পদ্যে যে কলমটি সাবলম্বি সাহিত্য চাষে 
তাকেই কেবলই কবি বলে স্মরণ করি।

এপার হতে ঝাপ দিয়ে ধরলার ওপারে কি আছে !
এক অজ্ঞাত বালুচরের পথে হাঁফিয়ে চলা
অবিশ্বাসী দামালের কোনো দোষ না নিলে
তাকে সচেতনে অচেতন ফেলে রেখো প্রভূ
নইলে ক্ষমা করিও, দণ্ড দিওনা কোনো 
আনাড়ীরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেয়
কবিতার চরণে
একটি শব্দও যদি সত্যের পক্ষে রটে যায়
২৭/০৯/১৬ ইং। 




পুরোপুরি ধ্বংসের আগে
====================
এখনি যাযা বলার তা বলছিনা  
যে পথ চলার সে পথে চলছিনা
আবেগে ভরপুর  ডুবে তো  গলছিনা। 

সময়ে দাঁড়িয়ে দেখি বেশ এইতো
যাকে ভাবিনি বিশেষ আগে সেইতো
হাঁকডাক শুনি খুঁজে দেখি নেইতো।

স্বৈরতা ঢের: ধীরলয়ে পথ চলা 
নিশ্চুপ ধুপ জ্বালি মুখে না বলা
অপরাধ হলে হোক মুর্খের কলা।

এখনি ডাকলে ওরা  যে জাগবেনা 
এতোটা ত্যাগের ধন কাজে লাগবেনা 
মুক্তির মিছিলে যে  কেউ থাকবেনা।

পুরোপুরি ধ্বংসের আগে হলে সে 
বুঝে যাবে সংগ্রাম না বলেও যে 
বলবে- জলদি, আমাদের সাথে নে।
২০/০৯/১৬ ইং।




সুখ পাখিটা   
===============
একলা হাসি একলা কাঁদি
কেবল বেঁচে আছি 
সবাই যখন সবার সাথে
খেলছে কানামাছি।

দূরের দেশে সুরের ক্লেশে
হারিয়ে যাবো বুঝি
আরকি আছে চাওয়া টুকু 
শান্তিতে চোখ বুজি।

আবার জাগি জগৎ মাঝে  
ঝিমিয়ে পড়া মনে
তাকিয়ে দেখি সুখ পাখিটা 
হারিয়ে গেছে বনে।।
১৯/০৯/১৬ ইং।।