মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

লক্ষ্মী নন্দী


লক্ষ্মী নন্দী

ঋণ

এখন উতরোল রাত্রি
অন্ধকারে সমস্ত নক্ষত্র
ঝলমল করছে। মরে যাই
যদি তার আগেই তোমাকে
দেব শব্দসাধনা। অনেক ঋণী
তোমার কাছে। কিভাবে যেন
জগৎ আর আমি  দুই সত্তা
হয়ে গেছি। ভীরু উপমা যেমন
এমন দুর্দিনেও  সূর্যের  থেকে
বর্ণসমারোহ নিয়ে তোমার ঋণ
শোধ করে দিতে চাই।
শুধু ভোরের অপেক্ষা -----








তোর্ষা

বহুদিন পরে  দেখা
দ্বাদশীর গোধূলিতে,
মৌন  শুয়েছিলে  তুমি
পরিতৃপ্ত বুকে, রমণীর।
কতো ধর্মের গাছ , পাতা
তোমাকে ছুঁয়ে গাইছিল
মিলন। আমি দেখেছি
কিন্তু বলিনি কেন নেই
তোমার সেই প্রশস্ত বুক
আর ঐ মথিত উচ্ছ্বাস!
শাপমোচনে এক নিশ্বাসে
ছুঁটে  গেছি তীরে।
একটু পরেই দেখেছি
  আধো  অন্ধকারে
অনেকটা মানবদেহের
মত, এক ছায়া।
প্রেমে পড়া কিশোরীর
স্মৃতিতে মিশে গেছে ভালোবাসা ।
বসন্ত এসেছে প্রলাপে, 
কিন্তু   প্রগাঢ়  অভিমানে ।
তখন তোমার কণ্ঠলগ্ন আমি
তিন দোলনে পরাশ্রয়ী ,
দংশনে নীল। কেন এ নির্মম
অন্তঃদহন? ক্ষমা করো।
জীবনের জীব হয়ে
সঙ্গোপনে সমুদ্র যাত্রায়
ভেসে যাচ্ছিল কবি। 
কবিরা আত্মার সাধক।
আমি সন্ধ্যা প্রদ্বীপের
এক রত্তি আলোতে
নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেলাম 
ঐ পরন্ত বেলায় সেদিন।







বর্ণ

স্মরণের মাধ্যমে ব'য়ে
চলেছে অজস্র প্রার্থনা।
তুমি কি শুনতে পারছো!
ঐতো ঐতো তুমি। চিরতরুণ
অগ্নির নানাবিধ যজ্ঞে
উপর দিয়ে কালনির্ণায়ক
শবাসনা হয়ে আছো -------
একটা কমলা বর্ণের আসনে
নাক্ষত্রিক গণনা সম্পাদনা শেষে
পৃথিবীর মেরুতারকা যেমন।