রবিবার, ২১ জুন, ২০২০

লিপি সেনগুপ্ত


লিপি সেনগুপ্ত

রোজনামচা

ভাঙা তুবড়ানো হাঁড়িটা উনুনে বসাতে গিয়ে
কেঁদে ওঠে হারানের মা! সেই দু'জনের কবে...
সংসার হল! হারান এল! তাও বছর তিরিশ হবে!
সেই মানুষটাই কি এক অসুখে শ্বাসকষ্ট নিয়ে
জ্বর গায়ে চলে গেল! শেষ দেখাটুকুও হল না!
সংসারে সে তো ছিল ছাতার মতই! সবই অদৃষ্ট....

আজ দু'বেলা দু'মুঠো জোটে কি জোটে না!
হারানের কাজ গেছে! মালিক নেবে না বলেছে!
তবু ভোর থাকতে বেরিয়ে পড়ে কাজের খোঁজে! তা
রপর হারানের বৌ বিয়েতে পাওয়া পিতলের যুবতী হাড়ি,
থালা, বাটি, কলসি বের করে রোজ মাজে!
আর গলা বাড়িয়ে বলে...
"সাথে বুড়িটাও মরলে পারত! কিছু তো বাঁচত"....

সত্যিই তো! হাড়ে হাড়ে ঠোকাঠুকি এখন!
তবু পেট তো সে কথা শোনে না!
রোজ রোজ গঞ্জনা! এই দুর্দিনে
ঐ বাসন কটা বেচলে তবু কিছু হাতে আসে।
তাই না এত যত্ন! হারানের মা আঁচলে চোখের জল মুছে
সজনে শাক বাছতে বসে দুয়োরে!

পাতাগুলো কি সবুজ ! দিনগুলো কেন এমন হয়না!