শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭

ইন্দ্রাণী সরকার



ইন্দ্রাণী সরকার

অস্তিত্ব

শেওলা ধরা দেওয়ালের মত অস্তিত্ব দৃষ্টি নিম্নগামী যেন বাইরে থেকে দেখা যায় না, কিন্তু লেখা ফুটিয়ে তোলে সম্পর্ক নেই, পাতাল থেকে সম্পর্ক খুঁড়ে বার করে আনে তাদের জামা পড়ায়, মোজা পড়ায়, টুপি পড়ায় আবার খুলে খুলে নেয় নগ্ন শরীর চেটে চেটে খায় তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলে আমি চাটি নি আমরা চাটি না, তারা চাটে। ওদিক থেকে একটা ফড়ে রোজ নীল আকাশে গল্প আঁকে ।এভাবেই তাদের জীবন, এভাবেই পরমার্থ ।





আগমনী

শরতের মেঘে মেঘে মায়ের আগমনীসোনা সূর্য্য ঝিকমিকিয়ে যায় পাতায় পাতায়,কাঁচা হলুদ বরণ যেন লেগে আছে ঘাসেকাশের দল মাথা নেড়ে ফিসফিসিয়ে হেসে যায়।

শিশির ভেজানো সকালে কে ঐ বালিকাখালি পায়ে নূপুর পড়ে বাগানে শিউলি কুড়ায় ?দূরে শুরু হয় ঢাকের আওয়াজ ভোর হলপূজার ফুল এনে সে ঝুড়িতে উপুড় করে দেয়।শুরু হয় মন্ত্র, শুরু হয় আরতি, পুষ্পাঞ্জলিমায়ের পাশটিতে দাঁড়িয়ে ছোট মেয়ে মন্ত্রগান গায়,নানা বস্ত্র, আভরণ সজ্জিত যত পুরুষ ও নারীপূজাস্থান ভরিয়ে রাখে হাসি আনন্দের ফোয়ারায়।।





নিরাময়

খুব আদরে ডাকি প্রিয়কেমধ্যরাতে তার চিবুক ছুঁয়ে আকাশ দেখিতাকে আজন্ম শুশ্রূষা করিনিস্তব্ধ রাতে গাছেদের সংলাপ শোনা যায়থোকা থোকা নিরাময় ফুল দিয়েতার গায়ে শীতল চন্দনের প্রলেপ দিইঅরণ্যদেবীর মায়ায় তার চোখেজোছনার শীতল প্রলেপ লাগিয়ে ঘুম পাড়াইঘুমে সে স্বপ্ন দেখে হেসে ওঠেহাত বাড়িয়ে আঁচলটা টেনে চোখ ঢাকে |





শৃঙ্খলতা থেকে মুক্তি

আমি কবিতা কখনো লিখি নিশুধু তাকে হাত বদল হতে দেখেছিযেন এই অন্ধ পৃথিবীতে সে মৃত।
তাকে বাঁচাতে উদ্ভ্রান্ত ছুটে যাইধূসর সভ্যতা থেকে আলোকিত উত্তরণেনবজাগরণের মত সে একদিনআমার বিস্মিত চোখ খুলে দিয়ে যাবে।

সেই আশায় হাতে ভরসার শব্দ মুঠি করেপাতায় পাতায় লিখি তার আগমনীনতুন দিনে নতুন আশার পদধ্বনি।

এই নির্দয় পৃথিবীর বাগিচায় নিয়মিতকবিতাকে পদদলিত হতে দেখেছিভুলুণ্ঠিত কবিতার চোখে জলের বর্ষাযতবার তাকে আগলাতে গেছিততবার সে ছিটকে পড়েছে এদিক ওদিক।
এখন সেই শুভ দিনের অপেক্ষায় আছিযখন কবিতাকে দেব শৃঙ্খলতা থেকে মুক্তিসমস্ত মানুষের মনে খোদিত করে যাবএক অপূর্ব ঐশ্বর্য ঐশ্বর্যশালী কবিতাযার নাম শান্তির দূত বহনকারী স্বাধীনতা





ত্রিশূল

#লক্ষ্য করলে দেখা যাবেবরাবর ছিল যারা এখনো আছেশুধু যারা নিজের জায়গা নিতে পারে নিছলাকলাতে অপরকে ঠকাতে নিজে ঠকেছেতারাই কলম্বাস হয়পরিত্যক্ত উপদেশ নথিভুক্ত হয়
#নস্টালজিয়া সর্বক্ষণ পাশে থাকামানুষের জন্য হয় নাযাকে একবার পাশে পাওয়া গিয়েছিলএখন আর নেই তার জন্য হয়
জঘন্যতা জঘন্য মানুষদের মানায় বেশিযে কোনোদিনই সাফসুতরো হতে পারেনিতার কাছে এর চেয়ে বেশি কি আসা করা যায় ?তার কাহিনীতে দেবত্ত্বের আশা দুরাশা
#দেবালয় আগেও ছিল এখনো আছেকারা যেন শকুনের ডানা থেকে পালক তুলেবারে বারে দেবালয় চিহ্নিত করেআর নিত্য তুষের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরে।