শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭

শ্রাবণী সিংহ



শ্রাবণী সিংহ
হ্যালুসিনেশন ১

জেগে ওঠে ইন্দ্রিয়শাখারা, জীর্ণ হলেও বালাপোশে  নরম বেড়ালের বুকের ওম
দুঃখেও ভিজি, কখনো অধিক সুখেও।


বৃষ্টি ধুয়ে দেয় কতকিছুই।


বর্ষা বিকেলের হ্যালুশিনেশন,


ছুঁড়ি গাই নদী পেরোয়
আর পলিতে রেখে যায় ক্ষুরের আলপনা।





হ্যালুসিনেশন ২


মাড়ভাতের গন্ধ  উপত্যকা পেরোয়, এক চোখা
হিমদানবের গল্প শুনতে শুনতে
ঘুমিয়ে পড়া,


মাতামহীর আঁচলের জ্যোৎস্না মিথ এখন


কত ঋণশোধ একজীবনে হয়েই ওঠে না


ছাইদান অসাড় হৃদপিণ্ড


এ দরজার বয়সও পেরিয়ে গেছে বৃদ্ধ ফেরেস্তার মতন।






হ্যালুসিনেশন ৩


সরু সরু দরজা , সবটাই কাঠের নয় কিছু  কিছু ইস্পাতেরও , নিষ্কলঙ্ক কঠিন


চিবুক নামিয়ে নিলে করাতের ধার


পাতার ফসফরাস নিয়ে  জ্বলে ওঠে ডাইভারশন


পালকের পোশাকে তোমাকে জটায়ু লাগে।






হ্যালুসিনেশন ৪


রাজহাঁস গুলো কস্টিউম খুলে রেখে জল ঝরাচ্ছে


তাকের উপর পুতুলের ঘরবাড়ি, ঘাড়-নাড়া বুড়ো
মাটির রথ, সঙের সিপাই


আমাদের হাত পৌছয় না
স্বপ্নে আমরা ছোটই থেকে যাই






ঘুণপোকা

বাঁকে বাঁকে
জারুলের তর্পণ , নদীটি এখনও শব্দ দিয়ে আঁকা ত্রিভুজ;


জেলেদের আলো  খুঁটিয়ে দেখছ,
কোথাও রেখা পড়ে আছে নাকি
জাফরির গা বেয়ে নামা জলবিন্দু,
মনে পড়ে একদিন তুমি গ্রাফিতি এঁকেছিলে
পাতার গম্বুজে ...


এখন নি;শ্বাসে  মানুষ-পোড়া গন্ধ ,পরাজয়
সৈনিকের শিরোস্ত্রাণ
নুয়ে এলে
কাঁচা  অন্ধকার নেমে আসে,


আজ রাতে  যদি চারপায়াতেই  মৃত্যু আসে
ডেকে নেব তোমাকেও
ঘুণপোকা

.........