বুধবার, ২১ জুন, ২০১৭

সুকুমার চৌধুরী



সুকুমার চৌধুরী

পারঙ্গম

ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে যারা ঘাস খেতে ভালবাসে
ভগবান তাঁদের কোন আইডেন্টিটি কার্ড না দিয়ে
পাঠিয়ে দিলেন পৃথিবীতে
কেননা আস্তাবলে ঘোড়াদের ভীড় আর
সবুজ আর চনমনে ঘাসের জন্য
             পৃথিবীর কোন বিকল্প নেই

অভিজ্ঞতা একদিন চিনে নিল এইসব অদ্ভুত জীবেদের
অনেকটা মানুষের মতো জীবশ্রেষ্ঠ তাঁরা সব ছদ্ম প্রিয়জন
                             আর সংবেদন
যা কিনা পর্যাপ্ত অন্ধ এবং শালীন
এদের এগিয়ে দিল ঘাস
ভালোবেসে নাম দিল
        পারঙ্গম, পাপোষ, আশিক
নাম দিল সন্মিত্র, সঞ্জিত

ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে যারা ঘাস খেতে ভালবাসে
                   তাদের সৌজন্যে
এরকম একটি অপদ্য আজ সংযোজিত হলো 





সেবিধ

কাটিয়ে উঠতে উঠতে আজ যে রকম বুঝতে পারি
যে মহিমা তোমাকে দিয়েছিলাম খুব, খুব ভালোবেসে
তুমি তার অংশত অযোগ্য ছিলে

কাটিয়ে উঠতে উঠতে আজ যে রকম বুঝতে পারি
হয়তো হীনমন্যতা ছিলো, অযোগ্যতা ঢের আগে
                      টের পেয়ে গিয়েছিলে
তাই সাড়া দেওয়া হোয়ে ওঠেনি তোমার






আত্মরতি

এতটা বয়স হোলো তবু লোভ কুন্ঠিত হোলো না ।
লুন্ঠিত বীর্যের ফেনা চেয়ে চেয়ে দেখি ।

এত যে প্রলোভ তবু সাহস অর্জিত হোলো না ।
স্খলিত স্পর্ধার আঁঠা টিপে টিপে দেখি






ফোকটেল

পিপু ও ফিসুর দল নেমে আসে দেখি ।
নেমে আসে স্যুটেডবুটেড । হাতে হাতে তীক্ষ্ণ মোবাইল ।
লিকলিকে রে ব্যানে যতটা চৌকশ লাগে
                 থোবড়া তাদের
ততোটা আউটপুট কখনো ঢালে না তারা
             কর্পোরেট বাল্ডের মানুষ
তাদের নির্যাসে ভারী হোয়ে ওঠে টিএ বিল, গাড়িবাড়ি
                       হাদিগন্ত হাঁ এর আবিল

তারা পিপু ফিসু অথচ মজাটা দ্যাখো
তাদের শৈশবে কোনো পোঁদপোড়া
               ফোকটেল নেই     





রেনু

সময় ফুরন্তময়
অফুরন্ত আমি
তাই কিছু স্বপ্নের অশেষ
পড়ে থাকে ।

পড়ে থাকে
অগম উদ্ধার
আর সারাদিন
গন্ধ ওড়ে ।

সারাক্ষণ
ভনভন মাছি