সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

তনিমা হাজরা


তনিমা হাজরা    

শারদীয়া -১

খড় কাঠামোয় মাটির প্রলেপ,
তার ওপরে রঙ মাখি আজ,
দে এঁকে দে তুলির আঁচড়,
তোর ভালোবাসায় দেবী হব।
তুই বলেছিস, আমি নাকি অন্যতমা,
তুই বলেছিস, তাই তো সেটাই সত্যি ভেবে
ভীষণ রকম গরবিনী,
মাটিতে আর পা পড়ে না।

পা পড়ে না মাটিতে আর,তা
ইতে বা কি, বুক পেতে দিস পায়ের নীচে,
বিছিয়ে রাখিস হৃদয় যে তোর
সব কাঁটাকে আড়াল করিস,
তোর ভালোবাসায় দেবী হব।
কেন এত ভালবাসা? কেন এত ভালবাসা??
কি দেখেছিস ত্রিনয়নে??






শারদীয়-২

নাভির ওপর নীল পদ্ম,
পারানি শোক বিষাদ বপন,
অপরাজিতা আমায় বানাস,
নীলকন্ঠ সাজিস যখন।

দুজনেই নীল আকাশ গঙ্গায়
হাজার তারার অগ্নিক্ষত,
আমাদের এই হেঁটে চলায়
মশাল জ্বালে অবিরত।

 আমার জন্য শিউলি সাজাস,
ধুতরো রাখিস নিজের ভাগে,
শিশিরধৌত এ প্রেম যে তোর,
তাই,গান বেঁধেছিস অশ্রুরাগে।।






কোজাগরী

চাঁদ বল্ল, জাগবি নাকি?
দেখাস নে আর গরজ,
ধান্যছড়া, আলপনা আর দেবো পানের বরজ।

আচ্ছা রে চাঁদ জাগতে পারি,
গান শোনাবি বল,
চাঁদনী রাতে আসমানী রঙ শাড়ি পরি চল,
দুধসাদা চাঁদ ওপার থেকে বসলো যখন পাশে,
রাত জুড়ে এক হেমন্তিকার ছায়াছবি নাচে।

অনেককালের পুরোনো সব দিন পড়লো মনে,
চাঁদ সাক্ষী ছিল সেদিন, গান ছিল দুইজনে।
এমন কত চাঁদ পেরিয়ে কেটে আঁধার কালো
ধান্যবতী লক্ষ্মী খোঁজেন ধার করা এক আলো।

"কি সোন্দর জুটি যেন নক্কী- নারায়ণ"
সৈদুল মাঝি কি যে বলিস ,  তোর যে পোড়া চোখ,
সিঁধ কেটেছেন লক্ষ্মী যে তোর,আগে তার চুরির শাস্তি হোক।
এমনতরো ভাবের ঘরে অভাব বলিহারি,
তবুও, পোড়া চাঁদের গায়ে চাঁদের মরণ,
কাঁদতে কাঁদতে উঠলো হেসে অবুঝ কোজাগরী।।