সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

নাসির ওয়াদেন


নাসির ওয়াদেন
                  
পৌষ

সকাল লালরং শাড়ি পরে হাসে রোদ্দুরে
রং কী লাল নীল বোঝে অতশত ?
একটু একটু করে সূর্য ভাঙলে শেষ সাদাটা
শেষ হাসি হাসে দাঁড়িয়ে থাকে ছায়াকাঠি
চৌকাঠ পেরিয়ে যায় কৌতুহলী দিনগুলো,,,,,,
ভালবাসা পৌষমাঠে বাউল খেলা করে

রাত্রি এলে অন্ধকার খোঁজে পৌষালি শরীর
উল্লাসে ডেকে ওঠে রাতের শেয়াল
একটা তারা কিছুক্ষণ আগে জ্বলে উঠেছে
সেও তো পরখ করে পৌষকে,এ সেই পৌষ কীনা?
                                         






মায়া

হাঁসের ঠোঁটে মায়াবী চঞ্চলতা খেলা করে
বিমর্ষ রাতের সোহাগ কুমারীর উষ্ণ ওষ্ঠে
রাত জাগে --- শীতে আঞ্চলিক উষ্ণতা ---
মনখারাপের বেদুইন বাতাস খোঁজে
স্মৃতির কোমল পাঠে অপরাহ্ণের ছোঁয়া

ছোঁয়াছুঁয়ির কোলে সাবালিকা অঙ্গখানি
কতদিন সুখের স্পর্শ অনুভব করেনি
ডানা মেলে ওড়ে সন্ধ্যের প্রজাপতি
রং মেখে মায়া জমে পাথর ঘন রোদ্দুরে                   







উষ্ণতা

নির্বর্ষ আলোর ভেতরে আসা যাওয়া
কান্নায় বাতাসের চোখ ভারী হয়ে যায়
চোখের কোণে জমে থাকা ঈশান মেঘ
নির্বিচারে ঝরে প্রতি রবিবার
মাঝে মাঝে কণ্ঠহীন স্রোত ধাক্কা মারে
শবল শরীরে বোঝে ভাঙনের গান

পাখির শব্দের ব্যবহারে জাগে মরাচাঁদ
বনের পাপড়িগুলো দোলা দিয়ে হাসে
আকাশ শিশিরের নোনা জলে
সঠিকভাবে পৃথিবীতে কান্নার ঢেউ তোলে

চোখেরজল প্রতিদিন দুর্বলতা বাড়িয়ে যাচ্ছে 
                    






প্রতিভা

প্রতিভাকে নিয়ে ঘোরে আমাদের কুমারী রাত
দিবা আর নিশি পরস্পর আত্মীয়বন্ধনে
এক বুক সামুদ্রিক পাখি ওড়ে মনের ভেতর
অসহনীয় বিকেলগুলো হেঁটে চলে রাস্তায়

এবারের শীত বড্ড সুন্দর, মরমী গান
শুনতে পাই বাউলের একতারা ফাঁকে
ছাতিমতলা আর নেই, কিংবা বালকমাঠ
প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেলে প্রতিভার বিচ্ছুরণ

কাল থেকে প্রতিভাকে খুঁজে পাচ্ছি না
সে ও কি নিরুদ্দেশের যাত্রাপথের শরিক







সান্নিধ্য

আছি বলেই তো আজকেও সূর্য আসে
নেই বললেও প্রতিদিন রাত কেটে যাবে
আলো-আঁধারে আটকে থাকা আর না-থাকা
মাঝে মাঝে স্মৃতির দোকান খুলে বসে

বীজিত দিনের শবলিত হাসি-কান্নাগুলো
জীবন বিতংসে জড়ায় অনপ্রেত আকাঙ্ক্ষাকে
বাসনা বাসি ঠোঁটে তিলে তিলে অপেক্ষমান
কোনোদিন সান্নিধ্য ফিরে পাবে জীবনশৈলীতে,,,,

অসবর্ণ রংয়ের বোঝা নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি
কুয়াশা চাদর বিছিয়ে শীত জড়িয়েছে স্নেহপথে